বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিন রোববার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও অনেকের মধ্যে কাজ করছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। এদিন সচিবালয়ে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। দেখা গেছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা।
এদিন দুপুরের দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন। তারা বলেন, যেহেতু
অফিস খোলা, তাই তাদের আসতে হয়েছে। তবে চলাচলের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তিনি সরকারি যানবাহনে এসেছেন। তার দপ্তরের সবাই অফিসে এসেছেন। কিন্তু সবার মধ্যেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহারসহ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও অন্যদের কেউ কেউ দুপুর পর্যন্ত সচিবালয়ের অফিসে আসেননি। এসব মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সচিবালয়ের বাইরে অনুষ্ঠান ও সভা থাকায় দুপুর পর্যন্ত তারা আসেননি। কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী গণভবনে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির সভায় ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, এদিন সচিবালয়ে প্রবেশে ছিল কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। দুপুরের দিকে নিরাপত্তার জন্য সচিবালয়ের সবগুলো প্রবেশপথ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। সে সময় সচিবালয়ের পার্শ্ববর্তী তোপখানা রোডে বেশ কিছু মানুষের জমায়েত দেখা যায়। তখন ওই এলাকা থেকে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা গেছে। এ নিয়ে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।