সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সত্যজিত রায় দাশ স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, 'চলমান পরিস্থিতিতে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বু্যরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।'
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ১৫ জুলাই সহিংসতায় রূপ নেয়। ১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ ছয়জনের প্রাণ যায়।
উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সেদিন রাতেই সারাদেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
করা হয়।
পরদিন সকালে ৮টি বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়।
পরিস্থিতির অবনতি হলে পরে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় সরকার।
এরপর ৩১ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ বৈঠক শেষে জানানো হয়, সিটি করপোরেশনের বাইরে যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে তা খুলবে ৪ আগস্ট।
তার আগের দিন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার।