কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা কিংবা নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী শুক্রবার শিক্ষার্থীদের জামিন আবেদন করলে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ রশিদুল আলম ৩৭ জনকে জামিন দেন।
আরেক আবেদনে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা মহানগর এলাকার বাইরের পাঁচ শিক্ষার্থীকে জামিন দেন।
পরীক্ষার্থী বিবেচনায় বিচারক শিক্ষার্থীদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানান কোর্ট হাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেন।
আন্দোলন চলাকালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন এসব শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৩৭ জন ঢাকা মহানগর এলাকার এবং পাঁচজন মহানগরীর বাইরের।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- আলী হোসেন, ইসমাইল তালুকদার, ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদের, নাফিজ, ইয়ামিন শেখ, আসিফ খান, আব্দুস সামাদ, এলাহি বক্স, সামির হোসেন, তানজিল হাসান, আলাউদ্দিন, অপু, ফয়সাল আহমেদ, সামিউল আলম, শাখাওয়াত হোসেন, রনি শেখ, ইমরান আহম্মেদ আফসার, সম্রাট খলিফা, রাশিদুল ইসলাম তুহা, মাসুদ পারভেজ, আসিফ, আল আমিন, রায়হান ইসলাম, শাকিল আহম্মেদ, জাবের হোসেন, রুহুল আমিন, রাহাত উবায়দুলস্নাহ, জাকি, তুহিন, নাহিদ আহম্মেদ, মাসুদ রানা, শরিফুল ইসলাম, শিহাব হোসেন, তাসরিফ স্বপ্ন ও ছোয়াদ উর রহমান।
এছাড়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- সামির হোসেন, রাশেদুল হাসান তুহা, সোয়াদ উর রহমান, রুহুল আমিন ও রনি শেখ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংস পরিস্থিতিতে ব্যাপক ধরপাকড় চলে। আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন সময়ে এসব শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হন।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকলে প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা দেবে বলে বৃহস্পতিবার রাতে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আটক যে ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই, তাদের জামিনের ক্ষেত্রেও সরকার আইনি সহায়তা করবে বলে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।