দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি পালিত
শহীদ মিনার থেকে ৪ দফা দাবি, রোববার গণমিছিল
প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
আগামীকাল রোববারের মধ্যে গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী-জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। দাবি মানা না হলে রোববার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্রোহযাত্রা নিয়ে আসে শিক্ষার্থী, জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সেখানেই ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম।
তিনি বলেন, আগামীকাল রোববারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার করতে হবে, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, বর্তমান সরকারকে শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবিগুলো যদি রোববারের মধ্যে পূরণ না করা হয়, তাহলে সেদিন বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে গণমিছিল শুরু হবে।
এর আগে গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত দ্রোহযাত্রা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এসে পৌঁছায়।
বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থী-জনতার দ্রোহযাত্রা। যাত্রার শুরুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, তাদের দাবি এখন একটাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে আনতে হবে। সরকারের কাছে কোনো কিছু চাওয়ার নেই। তবে অনেক বিচার বকেয়া রয়েছে। 'জুলাই হত্যাকান্ডের' বিচার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এখন প্রধান এজেন্ডা (আলোচ্য বিষয়) বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর কীভাবে হবে।
বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দ্রোহযাত্রাটি শুরু হয়। বিকাল সোয়া চারটার দিকে সেটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায়। এ সময় শহীদ মিনারে হাজারো আন্দোলনকারী জমায়েতে হয়। সেখানে অসংখ্য শ্রেণিপেশার মানুষকেও যোগ দিতে দেখা গেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা বিভিন্ন স্স্নোগান দিতে থাকে। কিছুক্ষণ স্স্নোগান চলছে, আবার কিছুক্ষণ গান। 'মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হলো বলিদান....', 'আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই', 'জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে...', 'রক্তের দাগ দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক....' ইত্যাদি স্স্নোগান ভেসে আসছিল প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে।
দ্রোহযাত্রায় জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, আসিফ নজরুল, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।