বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

দুর্নীতির মামলা সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের কারাদন্ড

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
-

১৯৯৮ সালে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক ৩ কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আজহার হোসেন ও জহিরুল হক চৌধুরী, ক্যাশ অফিসার নাজিম উদ্দিন এবং জনৈক মানিক মিয়া। রায়ে চারজনকে একই ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং সাড়ে ৬ কোটি টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় নাজিম উদ্দিন, জহিরুল হক ও আজহার হোসেনকে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে মর্মে আদেশে উলেস্নখ করেন আদালত। এক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অর্থদন্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে ওই কপি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় রাষ্ট্রপক্ষ ৩৮৬ ধারার বিধান মতে, তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে আদায় করতে পারবে বলে আদেশে উলেস্নখ করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন ও মানিক মিয়া রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ এস এম আব্দুল মতিন আনসারী মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা ১৯৯৮ সালের ৩১ মার্চ যেকোনো সময় বা এর আগে চার কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৪২০ টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ২১ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে