যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াত অবশেষে নিষিদ্ধ হচ্ছে। নির্বাহী আদেশে আজ এ বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নিষিদ্ধ করার পর জামায়াত কোন পথে হাঁটবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। কোটা আন্দোলন নিয়ে ঘোলাটে পরিস্থিতিতে জামায়াত নিষিদ্ধ হলে এ ইসু্যতে দেশ নতুন করে অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে কিনা তা নিয়েও অনেকে উদ্বিগ্ন।
এদিকে দলকে নিষিদ্ধ করা হলে তাদের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীর মধ্যেও ব্যাপক কথাবার্তা। দলের মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা এ ব্যাপারে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিকনির্দেশনা চাইছেন। দলীয় হাইকমান্ড থেকে এ ব্যাপারে নেতাকর্মীকে গাইড লাইন দেওয়া হচ্ছে। যদিও দলের প্রথম সারির একাধিক নেতার ভাষ্য, দল নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে দলীয় হাইকমান্ড এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কেননা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল জামায়াতকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বেআইনি, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থি।
দলের আরেক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকার নাজুক অবস্থানে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলি ও হত্যা করে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে। তাই এ ইসু্য থেকে সবার দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে জামায়াত নিষিদ্ধের ছক এঁটেছে। সরকারকে এজন্য আরও বড় খেসারত দিতে হবে।
ওই নেতার ভাষ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০ সাল থেকেই জামায়াতের ওপর নানাভাবে জুলুম-নির্যাতন করছে। সেই ধারা এখনো বজায় রেখেছে। নেতাকর্মী কোথাও বৈঠক করলেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। যে কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটলে জামায়াতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সরকার দায় এড়ায়। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও জামায়াতকে দমাতে পারেনি। দলের নেতাকর্মী নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। জনশক্তি রিক্রুটসহ সবকিছু চলমান রয়েছে। তাই সরকার এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে তার সবশেষ অস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে এতে দলের নেতাকর্মীর ওপর বড় কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। চলমান পরিস্থিতিতে জামায়াতের হাইকমান্ড রাষ্ট্রশক্তির সঙ্গে সংঘাতে না গিয়ে 'কৌশলী' পথে হাঁটবে বলে মনে করেন ওই নেতা। তবে সে 'কৌশল' কী সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে জামায়াতের এ 'কৌশল' কী হবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অনেকেই এ ব্যাপারে তাদের অনুমানের কথা জানিয়েছেন। তাদের কারও কারও ধারণা, পরিবর্তিত পরিস্থিতি
মোকাবিলায় ও অস্তিত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম বর্তমান নাম পরিবর্তন করতে পারে। এ নিয়ে তারা আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। কেননা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বেশ কয়েক বছর আগে থেকে জোরেশোরে আলোচনায় রয়েছে।
জামায়াতের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এ অনুমান অনেকটাই সত্য বলে স্বীকার করেছেন। তারা জানান, বেশ আগেই নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে শূরা সদস্যরা। তবে নাম কি হবে বা কবে নাগাদ নতুন নাম আসবে- তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, জামায়াত ইসলামীর বেশিরভাগ তরুণ নেতাই অনেক দিন ধরে চাচ্ছে জামায়াত নতুন নামে আসুক। অতীত ভুলের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের চেতনায় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকুক। তাদের যুক্তি, নাম বদলালে জামায়াত ক্ষতিগ্রস্ত নয়, বরং লাভবানই হবে। যুদ্ধাপরাধের তীর আর তাদের বিদ্ধ করতে পারবে না। সব গস্নানি থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন দেশে নতুনভাবে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ হবে। বিএনপিসহ অন্যসব বিরোধী দলগুলোর যেখানে রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে সেখানে নতুন নামে জামায়াত বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দলটির সেই সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দক্ষতা এখনো অটুট রয়েছে।
এদিকে দায়িত্বশীল অপর এক সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ হওয়ার পর জামায়াত শুধু নামই পরিবর্তন করছে না, এর পাশাপাশি কর্মী রিক্রুটের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। আগে দলটিতে যোগ দিতে প্রথমে সমর্থক পরে কর্মী ও এর পরের ধাপে ধাপে রুকন হওয়ার সুযোগ ছিল। আর এসব ধাপ পার করতে সবাইকে বিপুলসংখ্যক বই-পুস্তক পড়া ও কোরআন শরিফ এবং হাদিস মুখস্ত করার পর পরীক্ষায় পাস করতে হয়। এবার এতটা কঠিন পদ্ধতি থাকছে না। এ ছাড়া শিবিরে যোগ দিতে প্রথমে সমর্থক পরে কর্মী, এরপর সাথী প্রার্থী, সাথী, এরপর সদস্যপ্রার্থী ও শেষ ধাপে সদস্য হিসেবে গণ্য করা হয় একেকজন সক্রিয় সদস্যকে। এক্ষেত্রেও দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তাদের সাবেক নেতা ও জামায়াত নেতাদের লেখা বই-পুস্তক, কোরআন ও হাদিস মুখস্ত করে পরীক্ষায় পাস করার পর দলে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এই সদস্যরাই শিবিরের বিভিন্ন জেলা মহানগরসহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নেতা নির্বাচিত হন। একইভাবে জামায়াতের রুকনরা জেলা, মহানগরসহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দায়িত্ব পেয়ে থাকেন। এতোসব কঠিন ধাপ পার করে নেতাকর্মী যোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই নতুন নামে জামায়াত সংগঠিত হওয়ার পর নতুন কর্মী সংগ্রহে সহজ পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। এতে দ্রম্নতই দল নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশা করেন তারা।
সূত্র জানায়, ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম, আলস্নাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন ব্যবস্থাসহ পুরনো গঠনতন্ত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। তবে মূল দল জামায়াতের নীতি বিলুপ্ত করা হবে না। ফলে নতুন দলে জামায়াতেরই কর্তৃত্ব ও প্রভাব থাকবে।
এদিকে কোটা আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা এখনও পুরোপুরি কেটে না গেলেও এর আগেই জামায়াত নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ সরকারের জন্য কতটা সুফল বয়ে আনবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভিন্নমুখী মন্তব্য করেছেন।
নির্বাহী নির্দেশে জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক প্রভাষক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন যায়যায়দিনকে বলেন, 'আমরা দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়ে আসছি। সে হিসেবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সরকার কোন প্রেক্ষাপটে এমন প্রতিকূল অবস্থায় এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা নিয়ে চিন্তার বিষয় রয়েছে।'
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে এক ধরনের সংকট চলছে। একদিকে ছাত্র আন্দোলন অন্যদিকে দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা। তাই এসব সমস্যার সমাধান না করে নির্বাহী সিদ্ধান্তে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া এ ব্যাপারে তরুণ ও নাগরিক সমাজের মত কি তা-ও যাচাই করা হয়নি বা কোনো জনমত গঠন করা হয়নি।'
তার মতে, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বিগত ৫০ বছরের জামায়াত দল হিসেবে আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাদের দেশ-বিদেশে শক্তিশালী লবিং রয়েছে। তাই এত বড় একটি সিদ্ধান্তের জন্য সর্বদলীয় ঐক্য প্রয়োজন। সব দল না হলেও বড় একটি অংশের এ বিষয়ে ঐকমত্য না থাকলে সরকারের জন্য তা বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে অর্থনীতিসহ সরকারের অভ্যন্তরীণ যে সংকট রয়েছে তা পুনর্গঠন প্রয়োজন সবার আগে।
জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক বসির আহমেদ বলেন, জামায়াত রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধানের আইনের মধ্য থেকে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল। এখন দল হিসেবেও জামায়াতকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে কি টুলস বা ম্যাকানিজম রয়েছ তা আমি জানি না।
জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করা হলে ভবিষ্যতে কি ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল একে মোহাম্মদ আলী শিকদার যায়যায়দিনকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তেমন কোনো রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হবে না। এমনকি ভবিষ্যতেও হবে না, সেটি প্রায় শতভাগ হলফ করেই বলা যায়। শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী নামে কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না। দলটি ভিন্ন নামে সংগঠিত হবে। দীর্ঘদিন ধরেই এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টি নামে দলটি সংগঠিত হচ্ছে বলে নানা সূত্রে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পর আরও শক্তিশালী ও জোটবদ্ধ হয়ে সংগঠিত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এমনকি ভবিষ্যতে যে কোনো ইসু্যতে তাদের নাশকতার মাত্রা আরও বাড়বে যেটি একেবারেই স্পষ্ট। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী একটি সুসংগঠিত দল। তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক আছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিকভাবেও তারা অনেক শক্তিশালী। এজন্য নিষিদ্ধ করার পর দলের নেতাকর্মীদের শক্তভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি, হামলা, নাশকতাসহ আরও বহু ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরও বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার পর দেশবাসীর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সেটি পর্যবেক্ষণ করাটা জরুরি। জামায়াতে ইসলামী তাদের আদর্শের বহু সংগঠন, প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছে। তাদের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবল। যারা প্রত্যক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীকেই সমর্থন করে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদারের ভাষ্য, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী ওই সময় জামায়াতে ইসলামীর জনবল ছিল ১৩ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশের জনসংখ্যা যদি ১৮ লাখ ধরা হয় তবে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শে বিশ্বাসী জনসংখ্যা ৭ লাখ ২০ হাজার।
এদিকে ১৪-দলীয় জোটের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট একটি রাজনৈতিক পস্ন্যাটফর্ম। একটি রাজনৈতিক দল বা জোট অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন ও সংবিংধান কাউকে এ এখতিয়ার দেয়নি। কোনো দল বা জোট অন্য কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার ধারা চালু হলে একদল অন্য দলকে নিষিদ্ধ করতে থাকবে। তখন রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। জামায়াতে ইসলামী একটি প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন, যা বাংলাদেশের সব গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে বসে অতীতে অনেক আন্দোলন করেছে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থার ফর্মুলা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে এবং তার ভিত্তিতে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ রকম একটি গণতান্ত্রিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি বেআইনি, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থি। জনগণ ১৪ দলের এই দাবি গ্রহণ করবে না।
অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে একটি আদর্শিক, সুসংগঠিত ও নিয়মতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের প্রচলিত সংবিধান মেনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে। জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতি ও ছাত্রবান্ধব সংগঠন হিসেবে দেশের ছাত্রসমাজ ও আপামর জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে এ সংগঠন। সুতরাং ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার যে আওয়ামী সিদ্ধান্ত তা সম্পূর্ণ বেআইনি, জাতি বিধ্বংসী, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থি।