মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
আজ সকাল ৯টায় অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ-অ্যামটবের সঙ্গে এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এই বৈঠকের পর জানা যাবে কবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পস্ন্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে 'কমপিস্নট শাটডাউন' কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরে। পরদিন বুধবার রাতে সারাদেশে বাসাবাড়িতে ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।
রবি-সোমবারের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে বলে শুক্রবারই আভাস দিয়েছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ।
'যেসব সঞ্চালন লাইন এবং ডেটা সেন্টার রিপেয়ার করা হয়েছে, ইমপ্যাক্টটা কেমন পড়ছে এবং মোবাইল ইন্টারনেটে প্রেশার যেহেতু আরেকটু বেশি পড়বে সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রবি-সোমবার চালু করার পরিকল্পনা আছে,' বলেছিলেন তিনি।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় টেলিযোগাযোগ খাতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, 'গত কয়েকদিনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতের ক্ষতি প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। শুধু টেলিকম খাতেই ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ডাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে।'
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক লাখ নতুন সিম রাজধানীতে ঢুকেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, '১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ডের আবির্ভাব ঘটে।'
রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ হলেই যারা সরকার পতন হবে বলে মনে করেন তাদের উদ্দেশে পলক বলেন, 'এতে তাদের পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই নিজের ক্ষতি করে অন্যকে ঘায়েল করবেন না, অপপ্রচার চালাবেন না।'
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে 'শান্তির জন্য বৃক্ষ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক, টেলিযোগাযোগ সচিব মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসএম শাহাব উদ্দিন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফর উলস্নাহ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।