সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। বুধবার জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।
ফলকার টুর্ক বলেন, 'সব ধরনের সহিংসতা ও বলপ্রয়োগ, বিশেষ করে প্রাণহানির ঘটনার অবশ্যই তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।'
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার আরও বলেন, 'মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার।'
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সম্প্রতি আন্দোলন শুরু করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার এই আন্দোলন প্রাণঘাতী রূপ নেয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয়জন নিহত হন।
এই সংঘাতের জেরে বুধবার সকাল থেকে একে একে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট সভা করে বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময় হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।