সারাদেশে গ্রেপ্তার ছাড়িয়েছে পাঁচ হাজার

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলমান চিরুনি অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তারের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও সারাদেশে কারফিউ বলবত আছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সারাদেশের নিরাপত্তা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিজিবির ডগ স্কোয়াড দিয়ে তলস্নাশি চালানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে পরিকল্পিত নাশকতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সারাদেশে চলমান চিরুনি অভিযানে গ্রেপ্তারের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। চলমান অভিযানে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। গ্রেপ্তারদের অধিকাংশই নাশকতায় জড়িত। অন্য মামলা ছাড়াও নাশকতার ঘটনায় পুরনো মামলার আসামিও রয়েছেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার নাশকতার সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ৫০৫ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত অধিকাংশ জনকেই জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। বেশ কয়েকজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। যদিও আদালতে প্রায় ৮০০ জনকে হাজির করা হয়েছিল। বুধবার আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় নাশকতার ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে গত পাঁচ দিনে এক হাজার ২৫৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। যার মধ্যে সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ আরও ৪৭৪ জনকে কারাগারে পাঠায়। গত ২২ জুলাই ৩৯৪ জন, ২১ জুলাই ১৮৮ জন, ২০ জুলাই ১৪২ জন এবং ১৯ জুলাই ৬০ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ২৭ আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। রাজশাহী অফিস জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজশাহীতে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হাতবোমা বিস্ফোরণ ও পুলিশের কাজে বাধার ঘটনায় ১৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর তিনটি থানায় সাতটি এবং জেলার আটটি থানায় ৯টি মামলা হয়। এসব মামলায় বুধবার ভোর পর্যন্ত ২১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে মহানগরে ১০৮ জন ও জেলায় ১০৮ জন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, রাজশাহী নগরীর তিনটি থানায় সাতটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বোয়ালিয়া থানায় চারটি, মতিহার থানায় দুটি ও চন্দ্রিমা থানায় একটি।