শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হলেই কারফিউ তুলে নেওয়া হবে নরসিংদীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫১

নরসিংদী প্রতিনিধি
'শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হলেই কারফিউ তুলে নেওয়া হবে'- জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'আমরা বাধ্য হয়ে কারফিউ দিয়েছি। আপনারা দুই একদিন ধৈর্য্য ধরুন, যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেই দুষ্কৃতকারী রাষ্ট্রদ্রোহীদের গ্রেপ্তার করে একটি শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হলেই- সব ধরনের কারফিউ উঠিয়ে নেওয়া হবে।' নংসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, লুণ্ঠনের প্রায় চারদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে কারা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সুরক্ষা বিভাগের সচিব, বিজিবির মহাপরিচালক, আর্ম ফোর্সের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত আইজিপি (হাইওয়ে), ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ ডিআইজি, প্রিজন ডিআইজি, নরসিংদী জেলা প্রশাসক, নরসিংদী পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমাদের চিরুনী অভিযান চলছে। এ দেশের আর্মি, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং এদেশের জনগণ, সবাই মিলে দুষ্কৃতকারীদের আমরা প্রতিহত করবো।' নরসিংদী কারাগারে হামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'শুধু নরসিংদী নয়, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা আক্রমণ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নরসিংদী কারাগার ছিল সেইভ জোন, সেখানে আমরা ৯ জন জঙ্গিকে বন্দি করেছিলাম। এর মধ্যে দুইজন মহিলা জঙ্গি ছিল। তারা কতটা ভয়ঙ্কর যে এখানেও হামলা করে এই বন্দিদের মুক্ত করে নিয়ে গেছে। এতে আপনারা বুঝতে পারছেন যে- দেশকে একটা বিপদগ্রস্ত পর্যায়ে নেওয়ার জন্য এ সমস্ত আক্রমণ করেছে।' এদিকে, কারাগারে হামলার ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের ৩ সদস্য নিয়ে একটি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সচিবকে প্রধান করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য এসব কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের নির্দেশে সোমবার ও মঙ্গলবারে পলাতক ১৩৬ জন কয়েদি আদালতে আত্মসমার্পণ করেছেন।