কারফিউ শিথিল ৭ ঘণ্টা
আজ-কাল ৪ ঘণ্টা খোলা অফিস-আদালত ও ব্যাংক
এ সময় সারাদেশে দোকানপাট, বিপণিবিতান, হাট-বাজার ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৭
যাযাদি রিপোর্ট
পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসায় তিন দিনের সাধারণ ছুটি শেষে আজ ও কাল সীমিত পরিসরে খুলছে সরকারি অফিস। খুলছে আদালত ও ব্যাংক। তবে অফিসের সময়সূচি ৪ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে চলমান কারফিউও এ সময় শিথিল থাকবে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস খোলা থাকবে। অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় জনস্বার্থে দেশে কারফিউ জারি রয়েছে। অফিস খোলার কারণে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলমান কারফিউও শিথিল থাকবে। এ সময় সারাদেশে দোকানপাট, বিপণিবিতান, হাট-বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় জনস্বার্থে সরকার নির্বাহী আদেশে প্রথম দফায় রোববার ও সোমবার সরকারি অফিসসহ সব ধরনের অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর সাধারণ ছুটি আরও এক দিন বাড়ানো হয়।
এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির জের ধরে চলা সপ্তাহব্যাপী সংঘাত-সহিংসতা পুরোপুরি থেমে যাওয়ায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেশখানিকটা কমেছে। তবে মাঠ থেকে সেনাবাহিনী ও কারফিউ তুলে নেওয়ার পর আন্দোলন পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। বিশেষ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাল বানিয়ে সংঘবদ্ধ যে দুষ্কৃতকারী চক্র দেশব্যাপী ১
জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরসহ নানা ধরনের তান্ডবলীলা চালিয়েছে তারা ফের মাঠে নামলে উদ্ভূত পরিস্থিতি বেসামরিক প্রশাসন সামলাতে পারবে কিনা তা নিয়ে আস্থার সংকট রয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলন স্বল্প সময়ের মধ্যে ছিনতাই হয়ে বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে চলে যাওয়া এবং দুষ্কৃতকারী চক্রের ভয়াবহ তান্ডব চালানোর নীলনকশার আগাম কোনো তথ্য গোয়েন্দারা সরকারকে দিতে পারেনি। যে কারণে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিপুলসংখ্যক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিরোধের আগাম প্রস্তুতি না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশিরভাগ তান্ডব সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে বরং হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ১১৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য হতাহত হন। এর মধ্যে অন্তত ১৩২ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। যা বিগত যে কোনো সময়ের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে খোদ সরকারের নীতিনির্ধারকরাই স্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সপ্তাহব্যাপী সংঘাত-সংঘর্ষ চলাকালীন দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা না গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর চারদিকে নাশকতার সার্বিক চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যা নিরূপণ করতে গিয়ে অনুসন্ধানকারীদের ভিমরি খেতে হচ্ছে। রাজধানীর মহাখালীর সেতু ভবন, বিআরটিএ কার্যালয় ও ডাটা সেন্টারসহ বিপুলসংখ্যক রাষ্ট্রীয় স্থাপনা এবং বেসরকারি খাতের বিভিন্ন সম্পদের যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা নিঃসংকোচে স্বীকার করেছেন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নাশকতাকারীরা রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কের ডিভাইডারের লোহার গ্রিল উপড়ে ফেলেছে। কোথাও কোথাও এসব গ্রিল রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হলেও অনেক জায়গায় দুষ্কৃতকারীরা তা নিজেদের বাসাবাড়িতে নিয়ে গেছে। বিনষ্ট করা হয়েছে শত শত স্ট্রিট লাইট ও বৈদু্যতিক খুঁটি। ভাঙচুর করেছে ময়লাবাহী গাড়ি ও ট্রলি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে এক-চতুর্থাংশ গাড়ি বিনষ্ট করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মেয়রের অভিযোগ, বিএনপি-জামায়াত ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ বেছে নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে দেশজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
এছাড়া আন্দোলন চলাকালে রাস্তায় গাড়ি না নামলেও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়, থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে বিপুলসংখ্যক যানবাহন ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে। ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ জেলায় দুষ্কৃতকারীরা এ ধরনের তান্ডবলীলা চালিয়েছে। যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো স্বীকার করেছে।
এ পরিস্থিতিতে সারাদেশে সেনাবাহিনীর টহল ও কারফিউ তুলে নেওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত যানবাহনের মালিক-চালকরা তাদের গাড়ি রাস্তায় নামাতে কতটা সাহস পাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বন্দরে পাঠানো যানবাহনগুলো সহজেই চলাচল শুরু হওয়া নিয়ে জোরালো সংশয় রয়েছে।
গাজীপুরের বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস মালিকের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানা গেছে। আরএম ফ্যাশনের মালিক রাজীব আহমেদ জানান, জার্মানিতে শিপমেন্টের জন্য তার পাঁচ কনটেইনার তৈরি পোশাক প্রস্তুত রয়েছে। গত সপ্তাহখানেক ধরে চলা অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তা চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো সম্ভব হয়নি। সংঘাত-সংঘর্ষ থামলেও সার্বিক পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বল্প সময়ের বিরতি দিয়ে কারফিউ চলমান থাকায় দূরপালস্নার যানবাহন এখনো রাস্তায় নামেনি। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে শুধু রপ্তানি পণ্য কেন, কোনো মালামালই কেউ পরিবহণ করার ঝুঁকি নেবেন না।
বাস-ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন গণপরিবহণের মালিকরাও এ নিয়ে তাদের আস্থার সংকটের কথা জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কয়েক জায়গায় ডিপোতে ঢুকে দুষ্কৃতকারীরা বিপুলসংখ্যক যানবাহন ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে। যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিরোধ করতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন ও পরিবহণ চালক-শ্রমিকের জানমালের নিরাপত্তার পূর্ণ নিশ্চয়তা না পেলে কেউই হয়তো রাস্তায় গাড়ি নামাবেন না বলে মনে করেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প মালিকরা তাদের কলকারখানা চালু করার ব্যাপারে আগ্রহী হলেও চলমান পরিস্থিতিতে অনেকেই এ ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে সাহস পাচ্ছে না। তাদের আশঙ্কা, ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীরা যেভাবে সারাদেশে ভয়াবহ তান্ডব চালিয়েছে তাতে সরকারের কাছ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত শিল্পকারখানা চালু করলে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী মহল সরকারের কাছে শিল্পকারখানা ও শ্রমিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা চেয়েছে।
যায়যায়দিনের চট্টগ্রাম বু্যরো অফিস জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের অধিকাংশ শিল্পকারখানা চালু করা হয়েছে। তবে এর আগে সোমবার বিজিএমইর নেতারা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। যার প্রথম দাবিই হলো- শিল্পকারখানা এবং সেখানকার শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
বিজিএমইর নেতারা বলেন, চলমান সংকটের কারণে দেশের পোশাকশিল্প বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন দেশের বায়ার ও গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তৈরিকৃত পোশাক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। নতুন কোনো অর্ডারও নেওয়া যাচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুত ও সরবরাহ না করা গেলে বাজার হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে গত কয়েকদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে পণ্য সরবরাহে বড় ধরনের ধস নামায় যেভাবে পণ্যমূল্য বেড়েছে, তাতে দ্রম্নত এ অবস্থার উন্নতি না হলে মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের ভাষ্য, সেনা টহল ও কারফিউ জারির আগ থেকেই পণ্য সরবরাহ একরকম বন্ধ হয়ে আছে। এ পরিস্থিতিতে সব ধরনের ব্যবসায় ধস নেমেছে। তবে কারফিউ ও সেনা টহল তুলে নেওয়ার পর পণ্য সরবরাহ কতটা বাড়বে তা নিয়ে তারা শঙ্কা রয়েছে। কেননা, সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দাবি করা হলেও সারাদেশে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তান্ডবকারীরা অনেকেই এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় তারা ফের সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামবে কিনা তা নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয় রয়েছে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, কোটা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করা হলেও তাদের কর্মসূচির আড়ালে যেহেতু তৃতীয় কোনো গোষ্ঠী নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে, সেহেতু এ চক্রকে দমন করা না গেলে পরিস্থিতি ফের জটিল হয়ে উঠতে পারে। ঘটতে পারে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা। তাই তাদের দ্রম্নত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। তা না হলে সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট থেকেই যাবে।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, যারা হুকুম দিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে নিয়োজিত করেছে, পুলিশকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজেছে, পুলিশের স্থাপনায় হামলা চালিয়ে, পুলিশ সদস্যকে লটকিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে এসব দুর্বৃত্তর একটি বড় অংশকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, ডাটা সেন্টার, মেট্রোরেল এবং বিভিন্ন পুলিশ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকজন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে। এ চক্রের উদ্দেশ্য ছিল পুলিশকে হত্যা করে মনোবল ভেঙে দেওয়া। তারা ভেবেছিল পুলিশ পিছু হটে গেলে তারা এই দেশটাকে একাত্তরের কায়দায় দখল করে নেবে। তারা পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তাদের সে মিশন ভেস্তে গেছে।
এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার দাবি, মোবাইল ফোন, মেসেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা প্রমাণ পেয়েছেন যে, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া এবং দেশের অনেক সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে হামলা চালানো হয়। গোলাম পারওয়ারের নির্দেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ধ্বংসলীলা চালায়। এই ঘটনায় কেউ হুকুম দিয়েছে। আবার আরেকটি পক্ষ অর্থ, খাবার, গুলি সাপস্নাই দিয়েছে। বোমা ও গানপাউডার দিয়েছে। যারা এসব কাজ করেছে তাদের অনেকের নাম ও মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে। তাদের অধিকাংশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে, মেসেজগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।