দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি'র সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথন সুপার এডিট করে তা দিয়ে ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। রোববার বিকালে পটুয়াখালীর মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম ফরাজী কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মহিপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. আরিফ বিলস্নাহ নাসিম এবং লতাচাপলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণত সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির মলিস্নক।
কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত বাদীর অভিযোগ, দাখিলী কাগজপত্র, ভিডিও পর্যালোচনা করে মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি মহিপুরকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন। বাদীর নিযুক্তীয় কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. গোফরান বিশ্বাস পলাশ ও আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত কবির মলিস্নক এবং আরিফ বিলস্নাহ নাসিম গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামি পলাতক থাকলেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ম্যাসাঞ্জোরে কথোপকথন সুপার এডিট করে তার সম্মানহানি করার জন্য একটি পর্নো ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে আসামিরা। বিষয়টি বাদীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সরকারের বিভিন্ন মহলের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সবার মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোস্টের ঘটনায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগসহ তিনজনের নামে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী মো. মহিবুলস্নাহ বাদী হয়ে ১০ জুলাই বরিশাল সাইবার ট্রাইবু্যনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
বরিশাল সাইবার ট্রাইবু্যনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুকের সাইবার ট্রাইবু্যনাল সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৩, ২৫, ২৬, ২৯ ও ৩৩ ধারার অভিযোগে বাদীর দাখিলী কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।