কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্স্নোগানের নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বিশিষ্টজনরা বলেন, রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের মিছিল থেকে 'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার' ও 'আমরা সবাই রাজাকার' স্স্নোগান শুনে আমরা খুবই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী, বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী রাজাকারদের প্রতিনিধিত্ব দাবি করে, এমন স্স্নোগান উচ্চারিত হওয়ায় যারপরনাই
ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে উলেস্নখ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার আদর্শকে পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে বহন করার অধিকার কারও নেই বলে বিবৃতিতে উলেস্নখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই। আশা করি, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবেন ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দাবি আদায়ের পথে পরিচালিত হবেন।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক অনুপম সেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, ফেরদৌসী মজুমদার, সুজেয় শ্যাম, সারওয়ার আলী, আবেদ খান, কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক শফি আহমেদ, অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, ম. হামিদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গোলাম কুদ্দুছ, শ্যামল দত্ত, লাকী ইনাম, সারা জাকের, শিমুল ইউসুফ।