লিভ টু আপিল খারিজ

ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই বহাল

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
অভিভাবকদের লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত আপিল বিভাগেও বহাল থাকল। রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম বলেন, 'লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল। হাইকোর্টের রায় অনুসারে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তিতে এখন স্কুল কর্তৃপক্ষের আইনগত কোনো বাধা নেই।' ২০২৪ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বিভিন্ন শাখায় প্রথম শ্রেণিতে এই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুইজন অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনে সাড়া না পেয়ে তারা ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের \হপরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট দরখাস্তটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২৮ ফেব্রম্নয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তাদের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে উপস্থাপন করে। সেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারটি শাখায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরি ভিত্তিতে মাউশিকে অবহিত করতে বলা হয়। ওইদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মাউশির ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা আকারে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ৬ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। গত ২০ মার্চ আপিল বিভাগ ১৬৯টি শূন্য আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করাতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে স্থিতাবস্থা দেন এবং দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে এ সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ মে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়া প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের পর তা স্থগিত চেয়ে ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা পৃথক দুটি আবেদন করেন যা ২৬ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত 'নো অর্ডার' দিয়ে আবেদনকারী পক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা পৃথক লিভ টু আপিল করেন যা ৭ জুলাই চেম্বার আদালতে ওঠে। চেম্বার আদালত সেদিন লিভ টু আপিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।