দেশে প্রথমবারের মতো যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি পেয়েছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের ফলে জন্ম নেওয়া মেরিনা খাতুন। এখন থেকে তিনি বাবার পরিচয় ছাড়াই সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবেন।
রোববার সকালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির চিঠি মেরিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। মেরিনা খাতুন তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ গ্রামের মৃত পচি বেগমের মেয়ে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) উপ-পরিচালক (উন্নয়ন) প্রমথ রঞ্জন ঘটক স্বাক্ষরিত চিঠিটি তাড়াশ পোস্ট মাস্টার আইয়ুব আলীর কাছ থেকে গ্রহণ করেন মেরিনা।
গত ৭ জুলাই ইসু্য হওয়া চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়, মেরিনা খাতুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও গত ২৫.৪.২০২৪ তারিখ অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৮৯তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে যুদ্ধশিশু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
যুদ্ধশিশু হিসেবে স্বীকৃতির চিঠি পেয়ে মেরিনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'আমি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মানবেতর
জীবনযাপন করছি। ছেলেমেয়েদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। ফলে বর্তমানে অভাব-অনটনে চলে সংসার। আবার কিছুদিন আগে আমার স্বামী ওমর আলী অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংকট বেড়েছে।'
যুদ্ধশিশু হিসেবে সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় ভাতা ও সম্মানীর দাবি জানান তিনি।