এ সপ্তাহে প্রচন্ড চাপ থাকবে ঢাকার সড়কে

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০৯

যাযাদি রিপোর্ট
উল্টো রথযাত্রা, এইচএসসি পরীক্ষা, পবিত্র আশুরা ও তাজিয়া মিছিলের কারণে এ সপ্তাহে সড়কে প্রচন্ড চাপ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলমান থাকলে সড়কে সে চাপ আরও বাড়তে পারে। এসব কার্যক্রমকে এ সপ্তাহের জন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মনে করছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা উলেস্নখ করে পরিকল্পনার কথাও জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মেহেদী হাসান? তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এই সপ্তাহে তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রোববারও পরীক্ষা আছে। রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন। আবার ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা আছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে শুরু করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা শহরে গমনাগমন বাড়বে, সড়কে চাপ বাড়বে? তিনি বলেন, পাশাপাশি আগামী ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা আছে। লালবাগ ইমামবাড়া থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি লেক পর্যন্ত যাবে। এছাড়া লালবাগ, মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ তাজিয়া মিছিল হবে নানা স্থানে। এসব এলাকায় যানজটের শঙ্কা আছে। এরমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। এই সপ্তাহে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে এসব চ্যালেঞ্জ। ট্রাফিকের ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছেন। আমরা যাতে জনভোগান্তি কমাতে পারি সেজন্য ট্রাফিক বিভাগগুলো স্ব স্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। এব সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে। সারাদিন ধরে সেখানে জনভোগান্তি হচ্ছে। আপনারা কিছুই বলছেন না, মাঝে মধ্যে হুঙ্কার দেন, কিন্তু আইন প্রয়োগ করছেন না। আইন প্রয়োগ না করে কি দৃশ্যত ভোগান্তি বাড়াচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান বলেন, 'অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ট্রাফিকের আটটি বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করে। পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে টিম ডিএমপি একযোগে কাজ করে থাকে। আমরা চেষ্টা করি জনভোগান্তি যতটা কমিয়ে আনা যায়।' এ সময় উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'শুক্রবার সারাদিন ঢাকা শহর থমকে গিয়েছিল বৃষ্টি জলাবদ্ধতার কারণে। বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় যানবাহন বিকল হয়ে পড়েছিল। এরমধ্যে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির কারণে অনেক জায়গায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সঙ্গত কারণে আমরা শুক্রবার নগরবাসীকে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। তাজিয়া মিছিল ও আশুরা ঘিরে কোনো হুমকি বা ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় করে কাজ করি। আমরা ট্রাফিক পার্টটা দেখছি। ঝুঁকি পর্যালোচনার বিষয়ে অন্য বিভাগ আছে।' শাহবাগ বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প ব্যবস্থা কী? মানুষ ভোগান্তিতে পড়লে তাদের জন্য চলাচলে বিকল্প পরিকল্পনা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। কোনো ইন্টারসেকশন বন্ধ হলে পাশের ইন্টারসেকশনে জনবল বাড়ানো হয়। বিকল্প সড়কগুলো সচলে তৎপরতা বাড়ানো হয়।