অবৈধ বিয়ের মামলায় খালাস পেলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী
প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে অবৈধ বিয়ের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্লামেন্টে আরও আসনে জয় পাওয়ার একদিন পর শনিবার এ রায় এল। খবর : রয়টার্স, পিটিআই ও ডন।
দেশটির গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত এদিন 'ইদ্দত' মামলায় ইমরান ও তার স্ত্রীর সাজার বিরুদ্ধে তাদের দায়ের করা আপিল গ্রহণ করে তাদের খালাস দিয়ে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন। এতে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে কারাগারে আটকে রাখার মতো আর কোনো মামলা অবশিষ্ট থাকল না।
ইমরানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে বলেছেন, 'ইমরান খান ও বিবি সাহেবা খালাস পেয়েছেন।'
পিটিআই জানিয়েছে, ইমরানকে (৭১) কারাগারে আটকে রাখার মতো আর কোনো মামলা বিচারাধীন নেই।
রয়টার্স জানিয়েছে, আগের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ইমরানকে বিয়ে করার আগে ইসলামিক আইন অনুযায়ী বুশরা বিবির যে সময় নেওয়ার কথা ছিল তিনি তা না নেওয়ায় ফেব্রম্নয়ারিতে এই দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছর কারাদন্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত।
ইমরান ও তার স্ত্রী, উভয়েই এখন কারাগারে আছেন। এখন খালাসের রায়ের পর তারা মুক্তি পাবেন কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।
ফেব্রম্নয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে ইমরানের বিরুদ্ধে যে চারটি কারাদন্ডের রায় হয়েছিল সেগুলো হয় বাতিল হয়েছে নয়তো স্থগিত আছে। গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে থাকা ইমরান চলতি মাসেই রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস
মামলা থেকে খালাস পান। তার আরও দু'টি সাজা স্থগিত করা হয়েছে।
কিন্তু গত সপ্তাহে আদালত তার জামিন বাতিল করেছিল ২০২৩ এর মে মাসে হওয়া সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত কারণে। ইমরানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ওই সময় তার সমর্থকরা সামরিক বাহিনীর একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।
এই মামলায় ইমরানকে কারাগারে রাখার জন্য রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি, জানিয়েছে রয়টার্স।
আরও কয়েকটি মামলায় আসামি পক্ষ হিসেবে ইমরানের নাম আছে। এগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সহিংসতার একটি মামলাও আছে। আর অন্তত একটি অভিযোগে অভিযুক্ত পক্ষ হিসেবে আছেন বুশরা বিবি। এই অভিযোগে বলা হয়েছে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এই দম্পতি এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে জমি গ্রহণ করেছিলেন।
পিটিআই সতর্ক করে বলেছে, ইমরান দম্পতিকে অবলিম্বে মুক্তি দেওয়ার আদালতের আদেশ সত্ত্বেও যদি তাকে আটকে রাখা হয় তাহলে তা আরেকটি রাজনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।