আজকের যায়যায়দিন

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক ও রুশনারা আলী। বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারে 'সিটি মিনিস্টার' নিযুক্ত হয়েছেন। আর রুশনারা হাউজিং, কমিউনিটিজ অ্যান্ড লোকাল গভর্নমেন্ট হাউজিং বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পলিসিগত ডেভেলপমেন্টের দায়িত্ব পেয়েছেন।

লেবার পার্টি বিরোধী দলে থাকাকালীন টিউলিপ ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে লন্ডনের হ্যামস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন আসনে টানা তিনবার এমপি হয়েছিলেন তিনি।

৪১ বছর বয়সি টিউলিপকে লেবার পার্টির অভ্যন্তরে নতুন প্রজন্মের তুমুল সম্ভাবনাময় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখেন

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। লেবার পার্টির নিরাপদ বা সেফ সিট নয়, এমন আসনে ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রথমবার লেবারের মনোনয়ন পেয়েই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে চমক সৃষ্টি করেন টিউলিপ।

১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন টিউলিপ। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে টিউলিপ দ্বিতীয়। তার মা-বাবার, অর্থাৎ শফিক-রেহানা দম্পতির বিয়েও হয়েছিল এই কিলবার্নেই।

এদিকে, সদ্য শেষ হওয়া ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি আসন থেকে লেবার পার্টির হয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন রুশনারা আলী। দখলে নেন ১৫ হাজার ৮৯৬টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমাল মাশরুরকে হারান প্রায় ১৭শ' ভোটের ব্যবধানে।

এর আগে দেশটির বিরোধীদলীয় মন্ত্রিসভায় ছায়ামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় ছিল রুশনারা আলীর নাম।

গত ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে রুশনারা আলী বাংলাদেশি অধু্যষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার বেথনালগ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা। লন্ডনের বাংলাদেশি অধু্যষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের ওই আসনে ২০১০ সাল থেকে টানা এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। রুশনারার জন্ম সিলেটে। রুশনারা বয়স যখন সাত বছর, তখন যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমায় তার পরিবার। তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।