কোটা আন্দোলন
আজ সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ঘোষণা
আদালত থেকে সমাধানযোগ্য আদেশ আসবে, আশা শিক্ষামন্ত্রীর
প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
সরকারি চাকরিতে কোটা না রাখার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর পক্ষ থেকে 'বাংলা বস্নকেড' কর্মসূচির আওতায় এই অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে কোটা পদ্ধতি সংশোধনের এক দফা দাবিতে 'বাংলা বস্নকেড' কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন, মানববন্ধন ও মৌন সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা বাতিল নয়, সংস্কারের দাবিতে তাদের আন্দোলন। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ অনলাইন অফলাইন গণসংযোগেও অংশ নিয়েছেন তারা। এদিকে,
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সংগঠনের নেতারা।
অন্যদিকে, সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি রয়েছে আজ। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কিছু বিষয় রাজপথে সমাধান সম্ভব নয়। উচ্চ আদালতে এ সংক্রান্ত একটি শুনানি রয়েছে। আশা করছি, সেখানে সমাধানযোগ্য কোনো আদেশ আসতে পারে।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'বাংলা বস্নকেড' কর্মসূচির আওতায় বুধবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সবাই সমবেত হবেন। সেখান থেকে মিছিল করে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করা হবে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে।
দাবি আদায়ে টানা দুই দিন ঢাকাসহ সারা দেশে 'বাংলা বস্নকেড' কর্মসূচির আওতায় সড়ক অবরোধ করেন কোটাবিরোধী এই শিক্ষার্থীরা। রোববার ও সোমবার বিকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন তারা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। দুই দিন অবরোধের পর মঙ্গলবার গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এই কর্মসূচি শেষে আবার অবরোধের ঘোষণা দিলেন তারা।
আদালত থেকে সমাধানযোগ্য আদেশ আসবে, আশা শিক্ষামন্ত্রীর
মঙ্গলবার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে নৈপুণ্য অ্যাপ, জাতীয় পাঠ্যক্রম পোর্টাল ও বিষয়ভিত্তিক অনলাইন ট্রেনিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারিতে চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কিছু বিষয় রাজপথে সমাধান সম্ভব নয়। কোটা নিয়ে নির্দেশনা দ্রম্নত আসবে। বুধবার উচ্চ আদালতে এ সংক্রান্ত একটি শুনানি রয়েছে। আশা করছি, সেখানে সমাধানযোগ্য কোনো আদেশ আসতে পারে।
কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জাবি শিক্ষার্থীদের
জাবি প্রতিনিধি জানান, সপ্তম দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সামনে থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে উভয়পাশে বস্নক করে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে সড়কের দু'পাশেই যানজট তৈরি হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কোটা বাতিল নয়, সংস্কার চান। আন্দোলনকারীদের একজন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, 'আমরা কোটা বাতিলের দাবিতে নয়, আমরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী যারা অনগ্রসর জাতি-গোষ্ঠী রয়েছে তাদের জন্য কোটার ব্যবস্থা বহাল থাকুক কারণ স্বাধীনতার এত বছর পরেও তারা মৌলিক অধিকার থেকে এখনো বঞ্চিত। ১৯৭২ সালে যখন মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রবর্তন করা হয়েছিল তখন সংবিধানে বলা হয়েছিল এটা একটা অন্তর্র্বর্তীকালীন সিস্টেম। কিন্তু সেই কোটা স্বাধীনতার পরও ৫৪ বছর ধরে কীভাবে অন্তর্র্বর্তীকালীন সিস্টেম হিসেবে অব্যাহত থাকে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই আপনি যে দেশজুড়ে সম্মানসূচক মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখতে চান তাতে করে আপনি একদল সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরির মাধ্যমে বৈষম্য আরও প্রগাঢ় করছেন। তাই আমাদের দাবি অতিদ্রম্নত মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে।'
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার আপিল বিভাগের শুনানিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে রায় না আসলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। তবে, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি জানানোর ফলে অবরোধ কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়।
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের মৌন সমাবেশ
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ১৫ মিনিটের মৌন সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মৌন সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের সর্বস্তরে কোটা সংস্কার বিষয়ক যেসব আন্দোলন হচ্ছে তা 'অত্যন্ত যৌক্তিক'।
আন্দোলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং নারীদের জন্য যথাক্রমে ৩০ শতাংশ ও ১০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে শহীদ হওয়াতে তাদের পরিবার উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারায়। পাক হানাদার বাহিনী অনেকের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলে। অনেকে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে হারান। অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পঙ্গুত্ববরণ করেন। তখন বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা করা সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। তাছাড়াও তৎকালীন নারী শিক্ষায় এই জনপদ অনগ্রসর ছিল। যে নারীরা পড়াশোনা করেছেন, তারা অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পড়ালেখা করেছেন। সে জন্য তাদের জন্যও কোটা থাকা জরুরি ছিল।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান সময়ে এসে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সচ্ছল জীবনযাপন করছে। তাদের পরিবারের নাতি-নাতনিদের আগের অনগ্রসর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা বাধ্যতামূলক।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ, সেখানে মেয়েদের সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। দেশে নারীরা শিক্ষা ও যোগ্যতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। নারীরা তাদের আত্মমর্যাদা ও অধিকারের প্রতি যথেষ্ট সচেতন। ১০ শতাংশ নারী কোটা বজায় রাখা আত্মমর্যাদাশীল নারীদের প্রতি অসম্মানজনক। এমনকি আমাদের মাঝে উপস্থিত নারীও এই বিশেষ কোটা সুবিধা চায় না। তাই নারী কোটাও সংস্কার করা উচিত।
জেলা কোটা বর্তমানে ভিত্তিহীন বলে উলেস্নখ করে তারা বলেন, কোটা সংস্কারের পর বিভিন্ন কোটায় উপযুক্ত বা নূ্যনতম যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে না পাওয়া গেলে সে জায়গাগুলোতে মেধার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
তারা বলেন, দেশ এখন স্মার্ট আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ থেকে প্রতিনিয়ত মেধাবীরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে আসছে। আগামীর বাংলাদেশের কান্ডারি হবে দেশের মেধাবীরা। সেজন্য মেধার সর্বাত্মক সুযোগ বজায় রাখা কাম্য।
মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ
বাকৃবি প্রতিনিধি জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সংগঠনের নেতারা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মুক্তমঞ্চের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাকৃবি প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা আফরিনা মুস্তারি বলেন, 'এই কোটা মুক্তিযোদ্ধারা হাত পেতে নেন নাই। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মানস্বরূপ এই কোটা দিয়েছে সরকার। এটি হাইকোর্ট ও সরকারের বিষয়। কোটা বিরোধী এই আন্দোলনকে ঘিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে অবমাননা করা হচ্ছে তা দেশের পতাকাকে অবমাননা করার সমতুল্য। এটি কিছুতেই কাম্য নয়।'
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম বাকৃবি শাখার সভাপতি মো. মেহেদী হাসান বলেন, 'আন্দোলনকারীরা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মদের হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের জানান দিতে চায় যত দিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম বেঁচে আছে তাদের হেয় স্বার্থ কোনো দিন পূর্ণ হবে না। আমরা রাস্তায় থেকে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করব। তারা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করছে, এটা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কারণ এটা নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি চলমান। আইনগতভাবে যেটা চলমান সেটা নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।'
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণসংযোগ
সড়ক অবরোধের কর্মসূচি থেকে সরে এসে গণসংযোগ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন। সেখানে বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হল জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সামনে যান।
জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের কানিজ ফাতেমা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমার নানা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিন্তু আমি নিজে কখনো এই কোটা ব্যবহার করিনি। যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি চান, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা কি ভিক্ষা চান? আপনারা কি দয়া চান? একটু আগেও অনেককে দেখে এসেছি পাঠাগারে বসে চাকরির জন্য পড়ছেন। তাদের কাছে আমার আহ্বান, এভাবে কোটা বহাল থাকলে আপনারা পড়েও চাকরি পাবেন না। তাই আসুন, এসব নিয়ে কথা বলুন।'
রাজশাহী কলেজে বিক্ষোভ সমাবেশ
রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্স্নোগান দেন। তারা জানান, যত দিন পর্যন্তত্ম কোটাব্যবস্থার নিরসন না হবে, তত দিন শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে যাবেন। সরকারি চাকরিতে কোনো একটি শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। মেধার ভিত্তিতে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। এখানে কোনো কোটাপ্রথা চলবে না। রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই এখন থেকে কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান তারা।
রাজশাহী কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির হোসেন বলেন, 'আজকের মতো এই আন্দোলন কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। কেন্দ্রের সঙ্গে তারা সমন্বয় করে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টা থেকে এ আন্দোলন আবার শুরু হবে।'
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল-সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছেন।