ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ৪৭ ঘণ্টা পর ফেরত দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতের গোয়ালপুকুর থানার এসআই মোস্তফা বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
নিহত রাজু মিয়া (২০) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়ল হার্ট ইউনিয়নের গড়িয়ালী প্রামের বাসিন্দা মো. হবিবরের ছেলে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রাজুর লাশ বিএসএফ
\হদুই দেশের পুলিশ ও বিজিবির উপস্থিতিতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ গ্রহণের পরপর নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে শনিবার দুপুরে। এ বৈঠকে বিজিবি-বিএসএফের কাছে এ হত্যাকান্ডের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায়। এখানেই লাশ ফেরতের প্রশ্নে সমঝোতা হয়।
এর আগে গত ৪ জুলাই রাত ১১টায় উপজেলার নাগরভিটা সীমান্ত এলাকায় বিওপি আওতাধীন মেইন পিলার ৩৭৬/৫এস থেকে ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে তিনগাঁও নামক স্থানে নিহত হন রাজু মিয়া। ৫ জুলাই দুপুরে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে ওই যুবকের মারা যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বিএসএফ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল তারা।