ডিএনএ স্যাম্পল দিতে কলকাতা যাবেন ডরিন
প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতার সিআইডি। মরদেহের খন্ডাংশ উদ্ধারের ঘটনায় ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) টেস্টের স্যাম্পল দিতে শিগগির কলকাতায় যাবেন তিনি।
শনিবার বিকালে এ তথ্য জানান আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
তিনি বলেন, 'যারা ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে যাব তাদের চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতার সিআইডি। চিঠিটি বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমি আর আমার চাচা (আনারের ভাই) খুব শিগগির কলকাতায় যাব।'
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনাকারী, অর্থের জোগানদাতা ও হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন কালীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা।
মানববন্ধনে ডরিন বলেন, 'আমার বাবার হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের ফাঁসি চাই। আমি বাবা হারিয়েছি, বাবাকে আর ফিরে পাব না। অনেকে জেলে আছে, অনেকেই বাইরে আছে, তারা বেঁচে আছে কিন্তু আমার বাবা আর ফিরে আসবেন না। সব আসামির ফাঁসি হলেও বাবাকে আর ফিরে পাব না।'
তিনি বলেন, 'আমার বাবাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটি বিশ্বের ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকান্ড। হত্যার মূলপরিকল্পনারী, অর্থের জোগানদাতা, কিলার ও তথ্য গোপনকারীসহ
সবার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।'
একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে ইতিহাসে নতুন একটি নজির হোক বলে দাবি করেন ডরিন।
এমপিকন্যা বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমার একমাত্র অভিভাবক। তিনি আমাকে বলেছেন, 'তদন্ত তদন্তের মতো হবে। সবার
সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখি, আমার একমাত্র অভিভাবক, মমতাময়ী মা এ হত্যার বিচার করবেন। কারণ বাবা হারানোর কষ্ট তিনি আমার চাইতে ভালো জানেন।'
তিনি বলেন, 'কিলিং মিশনে থাকা সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন পর্যন্ত আক্তারুজ্জামান শাহীন পলাতক রয়েছেন। তাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দুজন নেতার কথা শুনেছি তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরই মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে যথেষ্ট তদন্ত-সাপেক্ষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোনো দ্বন্দ্বের কারণে নাকি অন্য কোনো ইসু্যর জন্য এমন হত্যাকান্ড এমন প্রশ্নের জবাবে ডরিন বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল তো অবশ্যই আছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা কেন গ্রেপ্তার হলো?
মানববন্ধনে ডরিন বলেন, মূল কিলার শিমুল ভূঁইয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আদালতকে সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবুর কথা বলেছেন। এই গ্যাস বাবুও আদালতে গিয়ে মিন্টুর কথা বলেছেন। তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন আরও বলেন, 'সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু আমাকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তারা আমার বাবার হত্যার তথ্য গোপন করেছিলেন। তথ্য গোপন করাও এক ধরনের অপরাধ। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। এটিও অপরাধ।'