জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত মিয়ানমারের নাগরিক বা রোহিঙ্গা সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব ও জাতীয় টাস্কফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জাতীয় টাস্কফোর্সের সদস্য বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সভায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত মিয়ানমার নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন- কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদু্যৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় সভাপতি জোর দিয়ে বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত মিয়ানমারের নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন এ সমস্যার একমাত্র সমাধান। সভায় এলপিজি, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন খাতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় রাখাইনে প্রত্যাবাসন-সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা অবহিত করেন।
এ সময় জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
৪৫তম জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় যোগ দেওয়ার আগে পররাষ্ট্রসচিব কক্সবাজারের
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেন। তিনি সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি, দক্ষতা বাড়ানোর কর্মকান্ড, প্রত্যাবাসন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।