মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় আপাতত বহাল
প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে দুটি গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেনি আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার আপিলের শুনানির দিন থাকলেও তা মুলতবি রাখা হয়েছে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আবেদনে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার শুনানি মুলতবি করে দেয়।
সেই সঙ্গে হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়।
এর ফলে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের
সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের রায় আপাতত বহাল থাকল।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনসুরুল হক দেশের বাইরে থাকায় সময়ের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন।
তাকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি শুনানিতে বলেন, 'আপাতত হাই কোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। আমরা শুনব।'
এ সময় প্রধান বিচারপতি এও বলেন, 'আন্দোলন হচ্ছে হোক। রাজপথে আন্দোলন করে কি হাই কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?'
রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু। তিনি পরে বলেন, 'আপিল বিভাগে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাই কোর্টের রায় বহাল থাকবে।'
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়, নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হল। এখন থেকে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে কোটা ব্যবস্থা আগের মতোই বহাল থাকবে বলে ওই পরিপত্রে বলা হয়।
ওই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন।
গত ৫ জুন সেই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।