এবার সাবেক এএসপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম বু্যরো
এবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রম। বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি মামলায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (অব.) মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-২ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক দায়েরকৃত মামলার আসামিরা রাউজান থানার গশ্চি গ্রামের মো. আবুল হাশেম (৬১) ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগম (৫১)। এই দম্পতি চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোডের রূপসী হাউজিংয়ে বসবাস করেন।
দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর দুদকের উপ-পরিচালক আতিকুল আলম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে মো. আবুল হাশেমকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের শুরুতে দুদকের হটলাইনে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৮ সালের ২৮
অক্টোবর আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনাকে সম্পদের বিবরণ দাখিলের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। একই বছরের ২৭ নভেম্বর সম্পদের বিবরণ দাখিল করেন তারা। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর আবুল হাশেম চাকরি থেকে অবসর নেন। মো. আবুল হাশেম অসৎ উদ্দেশ্যে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া অপর মামলায় তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন রেখে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৬ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় এবং তার স্বামী আসামি মো. আবুল হাশেম পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বারা পারস্পরিক যোগসাজশে স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের নামে সম্পদ অর্জন ও সম্পদ স্ত্রী কর্তৃক ভোগ দখলে রাখতে সহযোগিতা করার দায়ে দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় হাশেম ও তাহেরিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।