চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার পরিকল্পনা নেই
সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী
প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন। বুধবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এটি উত্থাপন করা হয়।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, 'চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা কমে গেছে। তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে শূন্য পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে।'
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে সেশনজট নেই উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি ও ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও চাকরিতে আবেদনের জন্য তারা অন্তত ছয়-সাত বছর সময় পান। এ ছাড়া ৩০ বছর সময়সীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দু-এক বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগ দিতে দিতে অনেকের বয়স ৩৫-এর কাছাকাছি চলে যায়।'
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি)
তথ্য তুলে ধরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, '৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সি (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭.৬৮%) এবং বেশি বয়সি (২৯ ঊর্ধ্ব) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে কম (১.৭১%)।'