কলড্রপ ইসু্যতে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেই প্রতিশ্রম্নতি রেখেছেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনকে কলড্রপ ইসু্যতে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গ্রামীণফোনকে এ শোকজ করেছে। গ্রামীণফোন যদি সদুত্তর দিতে না পারে তাহলে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্পেকট্রাম বরাদ্দের তুলনায় ইউটিলাইজেশন কম। ওরা (গ্রামীণফোন) বারবার বলে টাওয়ার কম। কিন্তু টাওয়ার যা আছে, তাতে বিটিআরসি যতটুকু স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছে, সেটা কেন ব্যবহার করছে না।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কারণ ওই স্পেকট্রাম ইউটিলাইজ করতে গেলে আরও কিছু টেকনোলজি এবং ফাইন্যান্সের বিষয় আছে, যেটা তাদের প্রতিশ্রম্নতি ছিল। কেন তারা সেটা করলেন না? এ কারণে আমরা তাদের শোকজ করেছি। তারা সদুত্তর দিতে না পারলে এক কোটি থেকে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কলড্রপ ইসু্যতে অন্য অপারেটরদের অবস্থানও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সদুত্তর দিতে না পারলে পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৩০ জুন বিটিআরসিতে কলড্রপ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মোবাইল অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়। ওইদিন সভায় প্রতিমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ১ জুলাই থেকে কলড্রপ ইসু্যতে অ্যাকশনে যাওয়া হবে। এরপর সর্বপ্রথম গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলো।
এদিকে, ডাক বিভাগের কর্মীদের ৫৫ কোটি টাকার প্রতারণার বিষয়ে সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ বিবেচনায় চাকরিচু্যত করা হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও মামলা করা হবে।