ভোক্তা পর্যায়ে এপ্রিল, মে ও জুন তিন মাসে কমার পর জুলাইয়ে বাড়ল তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এ সময় বিইআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এছাড়া ৫.৫ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৬২৭ টাকা, ১২.৫ কেজির ১ হাজার ৪২৩ টাকা, ১৫ কেজির ১ হাজার ৭০৮ টাকা, ১৬ কেজির ১ হাজার ৮২২ টাকা, ১৮ কেজির ২ হাজার ৪৯ টাকা, ২০ কেজির ২ হাজার ২৭৭ টাকা, ২২ কেজির ২ হাজার ৫০৫ টাকা, ২৫ কেজির ২ হাজার ৮৪৭ টাকা, ৩০ কেজির ৩ হাজার ৪১৬ টাকা, ৩৩ কেজির ৩ হাজার ৭৫৭ টাকা, ৩৫ কেজির ৩ হাজার ৯৮৫ টাকা এবং ৪৫ কেজির এলপিজির দাম ৫ হাজার ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ
মূল্য প্রতি কেজি ১১০ দশমিক শূত্য ৩ টাকা এবং গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার শূন্য দশমিক ২৪৪৫ টাকায় বা প্রতি ঘনমিটার ২৪৪ দশমিক ৫০ টাকায় সমন্বয় করা হলো। এছাড়া ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৬২ দশমিক ৭০ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।
গত ৩ জুন ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম মে মাসের তুলনায় ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর মে মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এপ্রিল মাসের তুলনায় ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এলপিজির দাম টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয়েছিল। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।