জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্র বলেছে, তারা দু'জনেই জামিনে আছেন।
দুদকের একটি সূত্র অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম গতকাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার খন্দকারের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌসী সুলতানা গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস নেই।
শামসুদ্দোহা খন্দকার ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর বিআইডবিস্নউটিএর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন। দায়িত্বপালনের সময় তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।