১১ দিন পর গুলশানের বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার বিকালে তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন।
এ দফায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে 'স্থায়ী পেসমেকার' বসানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল কয়েক দফা বৈঠকের পর পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৩ জুন পেসমেকার বসানো হয়। অস্ত্রোপচারের পর দুদিন করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) থাকার পর তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠলে মঙ্গলবার তাকে বাসায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে গেলে গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর তাকে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডাম বিকাল সাড়ে ৫টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় উদ্দেশে রওনা হন। চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে বাসায় তার নিয়মিত চিকিৎসা চলবে।'
হাসপাতালে থেকে ছোটভাই শামীম ইস্কান্দারের গাড়িতে করে বিকাল ৬টা ৪০ মিনিটে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এসময় নেতাকর্মী তার গাড়ি ঘিরে রেখে গুলশানের বাসা ফিরোজায় নিয়ে আসেন।
৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত চার বছরে কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে দুই শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। শর্ত হলো, তাকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত তিন বছরে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও ওই শর্তের যুক্তি দেখিয়ে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।