শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন খামার

মিলল সেই ছাগলসহ ১২ নিষিদ্ধ গরু

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
মিলল সেই ছাগলসহ ১২ নিষিদ্ধ গরু

ছাগলকান্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে এবার সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় ওই কেন্দ্রে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির পাঁচটি গাভী ও সাতটি বাছুরের সন্ধান পেয়েছে দুদক।

সোমবার ছাগলকান্ডে আলোচিত সাদিক এগ্রোকে নিষিদ্ধ গরু সরবরাহের অভিযোগে গো-প্রজনন কেন্দ্রে অভিযান চালায় দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অভিযান শুরু করে। গেল বছর কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬টি ব্রাহমা জাতের গরু সাদিক এগ্রোকে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিতে অভিযান চালায় দুদকের টিম।

দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ওই খামারে একটি শেডে ব্রাহমা জাতের গাভী ও ব্রাহমা বাছুরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় কাপড় দিয়ে ঘিরে রাখা একটি ছোট কক্ষে ১৫ লাখ টাকা দামের আলোচিত সেই ছাগলটিরও দেখা মিলে। সেখানে পাওয়া কিছু নথির খাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ। এই গরুগুলোর ব্যাপারে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাব এবং সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, '২০২১ সালে অবৈধভাবে ১৮টি ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি হয়। সেগুলো এতদিন পরিচর্যার জন্য কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়। তবে গত এপ্রিলে রমজান মাসে কয়েকটি শর্ত দিয়ে গরু জবাই করে বিক্রির জন্য সাদিক এগ্রোর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন দায়িত্ব নেন। কিন্তু কোরবানি ঈদে একই রকমের গরু বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ছাড়া গরুগুলো তিনি জবাই না করে প্রদর্শন করে বিক্রি করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে এ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সাদিক এগ্রোর সঙ্গে এখানকার কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

ফার্মের দায়িত্ব থাকা ব্যবস্থাপক জাহিদ খান বলেন, 'আমি দেড় মাস ধরে এখানে দায়িত্ব নিয়েছি। এখানে মূলত দুধ উৎপাদন করা হতো। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কেজি দুধ এখান ঢাকায় সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে এই খামারে গাভী ও বাছুর মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ গরু রয়েছে। এ ছাড়া ১২টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ কয়েক'শ হাঁস-মুরগি রয়েছে। আমিসহ প্রায় ৩৫ জন কর্মী এখানে কর্মরত। সোমবার সকাল থেকে এখানে সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না এখানে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে