টানা বৃষ্টিতে কর্মচাঞ্চল্যে ভাটা
টানা বৃষ্টির কারণে শুধু সাধারণ দিনমজুররাই নয়, বিভিন্ন পণ্যের ফেরিওয়ালা, ফুটপাতের হকার এবং দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা নানা পেশার অন্তত ৫০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে
প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
কয়েকদিনের টানা বর্ষণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অলিগলি-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। দেশের বেশকিছু এলাকায় ফসলের ক্ষেতে হাঁটুপানি জমেছে। নগর-মহানগরীর ব্যস্ততম সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতে থইথই পানি। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি ড্রেন উপচে কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে। ফলে শ্রমজীবীদের পাশাপাশি পেশাজীবী মানুষের কর্মচাঞ্চল্যে ভাটার টান ধরেছে।
এদিকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যেও দেখা দিয়েছে মন্দা। মার্কেট, বিপণি-বিতান ও বিভিন্ন শপিংমলে সাধারণ বেচাকেনা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। টানা বৃষ্টিতে পাড়া-মহলস্নার দোকানেও আগের মতো বিক্রি নেই।
টানা বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ সারাদেশে লাখ লাখ দিনমজুর কর্মহীন হয়ে পড়েছে। নিম্ন্নআয়ের এসব মানুষ গচ্ছিত সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। বেঁচে থাকার তাগিদে কেউ কেউ রিকশা-ভ্যান কিংবা ঠেলাগাড়ি চালিয়ে দু'মুঠো অন্ন সংগ্রহের চেষ্টা করছে। তবে বৃষ্টিতে ভিজে এসব কাজ করতে গিয়ে এক-দু'দিন পরই জ্বর-ঠান্ডাসহ নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়ে পরিবারের উপার্জনক্ষম এসব মানুষ উল্টো তাদের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
শ্রমজীবীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টানা বৃষ্টির কারণে শুধু সাধারণ দিনমজুররাই নয়, বিভিন্ন পণ্যের ফেরিওয়ালা, ফুটপাতের হকার এবং দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা নানা পেশার অন্তত ৫০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সংকটাপন্ন এ পরিস্থিতিতে শহুরে শ্রমিকদের অনেকেই গ্রামে ফিরে গেছেন।
তবে শহুরে শ্রমিকদের চেয়ে গ্রামের শ্রমিকরা আরও বেশি দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। সুনামগঞ্জসহ বেশকিছু এলাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই কয়েকদিনের টানা বর্ষণ তাদের কাছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বেশিরভাগ গ্রামের অবস্থাও একইরকম। বৃষ্টি থামলে কবে নাগাদ কাজ পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পেটপুরে দু'মুঠো ভাত খেতে পারবে তা এখন তাদের কাছে দুরাশা হয়ে উঠেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীর কোথাও যানবাহনের সংখ্যা কম আবার কোথাও লেগেছে যানজট। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলজটের। ফলে আষাঢ়ের ভারী বর্ষণে নগরবাসীকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, থেমে থেমে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিতে বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমেছে। বিপুলসংখ্যক সিএনজি অটোরিকশা এসব রাস্তা পার হওয়ার সময় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে আছে। মেকানিক ডেকে তা সারাতে চালকরা গলদঘর্ম। এসব বিকল যানবাহনে বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। গণপরিবহণ সংকটে অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। রিকশা ও সিএনজি চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে বৃষ্টিভেজা দুপুরে কথা হয় পথচারী খায়রুল আনামের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছি, আবার হাঁটতে হাঁটতে শরীর শুকাচ্ছে। মার্কেটিংয়ে কাজ করি বলে বৃষ্টির দিনেও মার্কেটে মার্কেটে ঘোরাঘুরি করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত গণপরিবহণ নেই রাস্তায়। তাই হেঁটেই এদিক-সেদিক যাচ্ছি।' তবে এভাবে দিনের টার্গেটকৃত কাজ কতটা শেষ করতে পারবেন তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি।
মোহাম্মদপুরের দিক থেকে আসা সিএনজি চালক খোকন মিয়া বলেন, 'বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট? এলাকায় সকাল থেকে যানজট দেখেছি। এখন আবার মোহাম্মদপুরের দিক থেকে আসলাম, রাস্তায় দেখেছি গণপরিবহণ তুলনামূলক কম। কয়েক জায়গায় যানজট আছে। হাতিরঝিলের বিভিন্ন অংশে এখনো পানি জমে রয়েছে। মানুষ রাস্তায় আছে, তবে যাত্রী তুলনামূলক কম।'
গাবতলীর দিক থেকে আসা বৈশাখী বাসের হেলপার রাজিব আহমেদ বলেন, 'রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা কম। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাবতলীর দিক থেকে আসলাম। বিজয় সরণির দিকের রাস্তায় কিছুটা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে যাচ্ছে, ফলে পেছনের দিকে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।'
মালিবাগ মোড়ে রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন জানান, তিনি সকাল ৭টা থেকে রিকশা চালাচ্ছেন। কিন্তু স্বাভাবিক দিনের মতো যাত্রী পাননি। ঘণ্টাখানেক বৃষ্টিতে ভেজার কারণে জ্বর জ্বর অনুভব করছেন। তাই কিছু সময় পর রিকশা গ্যারেজে জমা দিয়ে বাসায় ফিরে যাবেন। এই রিকশাচালকের আক্ষেপ, বৃষ্টিতে তারা কিছুটা ভাড়া বেশি নিলে সবাই গালমন্দ করেন। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে তারা অসুখে পড়ে কর্মহীন হলে তাদের সংসার কিভাবে চলে তা কেউ বুঝতে চান না।
এদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ রেলক্রসিংয়ে 'ডে লেবার হাটে' গিয়ে দেখা গেছে, ঝমঝম বৃষ্টির মধ্যে মাথায় এক টুকরো পলিথিন পেঁচিয়ে চলিস্নশোর্ধ সুরুজ মিয়া হাতে ঝুঁড়ি-কোদাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো কাজের জন্য দিনমজুর নিতে আসা কাউকে দেখলেই তিনি তার কাছে ছুটছেন। সুরুজ মিয়ার মতো আরও অন্তত ৫০ জন শ্রমিক একইভাবে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন। তবে প্রায় একঘণ্টা পর মাত্র দু'জন বাড়িওয়ালা এসে ৫ জন শ্রমিককে ড্রেন পরিষ্কার করানোর জন্য নিয়ে যান। কাজ না পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার পর শ্রমিকরা একে একে নিজের ঘরে ফিরতে শুরু করেন।
নজিবুলস্নাহ নামের একজন নির্মাণশ্রমিক এ প্রতিবেদককে জানান, গত তিন দিন তিনি কোনো কাজ পাননি। ঘরে চাল-ডাল যা ছিল তা ফুরিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার বৃষ্টিতে ভিজে একবেলা রিকশা চালিয়েছেন। তাতে তিনি ঠান্ডাজ্বরে আক্রান্ত হন। তারপরও অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন। ড্রেনের ময়লা পরিষ্কারসহ যে কোনো কাজ পেলেই করবেন বলে জানান তিনি।
অনেকটা একই সুরে দুঃখের কথা জানান রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করা কোহিনুর বেগম। তার ভাষ্য, আকাশ মেঘলা দেখলেই সাধারণত ঠিকাদাররা নির্মাণকাজ করতে চান না। এর উপর গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দুই দিন তিনি কোনো কাজ পাননি। যে রাজমিস্ত্রির অধীনে কাজ করেন তারও একই দশা।
\হ
ট্রাকে পণ্য লোড-আনলোডের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরাও আশঙ্কাজনকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা জানান, বৃষ্টির কারণে এমনিতেই পণ্য পরিবহণ কম। এর উপর ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় কেউ ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহণ করছে না। এতে তাদের না খেয়ে মরার দশা হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের ফুটপাতে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হকাররাও পড়েছে ভীষণ বিপাকে। টানা বর্ষণের কারণে গত কয়েকদিন ধরে বেচাকেনা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা শিকেয় উঠেছে। এর উপর বৃষ্টিতে অনেকের মালামাল ভিজে যাওয়ায় তাদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে।
মৌচাক মার্কেটের সামনের ফুটপাতের হকার সোহরাব মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, সোমবার ঝুঁকি নিয়েই ত্রিপলের নিচে মালামাল সাজিয়ে বসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কিছু সময় পর ভারী বর্ষণে পানি তার চৌকির নিচে এসে ঠেকেছে। মালামাল ভিজে নষ্ট হওয়ার পর তাড়াহুড়ো করে তা গুটিয়ে ঘরে ফিরেছেন।
স্থানীয় হকাররা জানান, শুধু মৌচাক মার্কেটের সামনের ফুটপাতই নয়, গোটা রাজধানীর সব ফুটপাতের হকারদেরই গত ক'দিন ধরে একই দুরবস্থা চলছে। বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে দোকান মেললেও রাস্তাঘাটে লোকজন কম থাকায় বেচা-বিক্রি অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তাদের ঘরে খাবারে টান পড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এর প্রভাবে মঙ্গলবারও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে এবং বায়ুচাপে তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার মাইকিং করা হয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে রুমা-বান্দরবান সড়কের দলিয়ানপাড়া এবং খুমীপাড়ায় মাটি ধসে সড়কের ওপর জমে থাকায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার শঙ্কায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাতটি উপজেলায় ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন। সাধারণ জনগণকে এ মুহূর্তে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে বান্দরবানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা করা হয়েছে এবং কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে বলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করে সেখানকার প্রধান শিক্ষকদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সবাইকে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, 'প্রবল বৃষ্টিতে বান্দরবানে নদীর পানি বেড়েছে। আমরা পৌরসভা, জেলা তথ্য অফিস ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।' অন্যদিকে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। বৃষ্টির কারণে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছেন না। বৃষ্টির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। মানুষ ঘর থেকে কম বের হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেকটা ভাটা পড়েছে।