পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেছেন, আমরা সর্বগ্রাসী হয়ে গেছি। আমাদের চাই চাই, আরও লাগবে। গণমাধ্যম এখন সৎ মানুষ বের করে আনছে। আমাদের সর্বগ্রাসী মনোভব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্মান থেকে কেন আমরা বিচু্যত হচ্ছি। শুধু নিজে সৎ থাকলে হবে না। আশপাশের সবাইকে সৎ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২৫ স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সত্যজিত কর্মকার বলেন, সরকার আমাদের
কী দেয়নি। আমরা কেন নীতিবহির্ভূত কাজ করছি। এই দেশ তো আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা এমন পর্যায়ে গেছে যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে নিবৃত করছেন। আমাদের সবাইকে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে আজ অনেকেই অনুপস্থিত, যা খুবই দুঃখজনক এটা শুদ্ধাচারের পরিপন্থি। এটা সরকারের অন্যতম কর্মসূচি অথচ অনেকে নেই। আমার মনে হয় আয়োজকদের কারণে আজ অনেক চেয়ার ফাঁকা। আমাদের সময়ের প্রতি, দায়িত্বের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া দরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, অনাচার দিয়ে কোনো সমাজ চলতে পারে না। শুদ্ধাচারের বিপরীত শব্দ কি অনাচার? সামাজিক অনাচার দূর করে মানবসভ্যতা রচনা করাই কাজ। মানুষের কাজই হচ্ছে অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিলবোর্ডে জাতির পিতার কথা বলা আছে, সেই অনুসারে আমাদের চলতে হবে। মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপ শুদ্ধাচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শুদ্ধাচার অর্জন করার জন্য জাতির পিতাকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এমদাদ উলস্নাহ মিয়ান, কৃষি, পানিসম্পদ ও পলস্নী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য রেহানা খাতুন ও বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন উপস্থিত ছিলেন।