ট্রেন ভ্রমণে গিয়ে প্রায়ই ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। হারাচ্ছেন প্রাণও। তবে ট্রেনে এসব অপকর্মের সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে ধর্ষণকান্ড। এমনকি প্রতিবন্ধীরাও শিকার হচ্ছেন আক্রমণের। সর্বশেষ বুধবার ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে ট্রেনে গত ৫ বছরে ১০টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ৮টিতেই রেল কর্মচারীরা জড়িত। এমন প্রেক্ষাপটে ট্রেনের ভেতরে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে রেল কর্মচারীরা জড়িত থাকায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজ। তারা প্রশ্ন রেখেছেন ট্রেনে নারী যাত্রীদের নিরাপত্তা কোথাও? রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। বার বার এমন ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে।
এদিকে, উদয়ন এক্সপ্রেসের ঘটনায় এসএ করপোরেশনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক হওয়া চারজনই ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিস (খাবার পরিবেশন) প্রতিষ্ঠানের কর্মী। অন্যদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি চেয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে
\হরওনা দেয় উদয়ন এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনে উঠেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণী। তবে তার টিকিট ছিল না। ফলে তিনি ট্রেনে উঠে খাবার কারে (ট্রেনের যে বগিতে খাবারের ব্যবস্থা আছে) অবস্থান নিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রেনটি বুধবার ভোর রাতের দিকে লাকসাম পার হওয়ার সময় তরুণীটি ধর্ষণের শিকার হন। এর আগে খাবার পরিবেশন করা প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা তাকে উত্ত্যক্ত করেছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার পর ট্রেনে থাকা জিআরপি পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে ওই বগিতে যান এবং তিনজনকে আটক করেন। একজন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর কুতুবপুর থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের জিআরপি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, 'আগে আটক হওয়া তিনজনকে বুধবারই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের সময় চেয়ে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। তবে পুরো বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার সন্ধ্যার পর।'
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন
চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮), মো. রাশেদ (২৭) ও আবদুর রব রাসেল (২৮)। এছাড়া এ ঘটনায় ট্রেনের গার্ড আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শহীদুল ইসলাম জানান, উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টেপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে আছেন।
যা বলল রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম উদয়ন এক্সপ্রেসে ধর্ষণের ঘটনাটিকে নজিরবিহীন আখ্যায়িত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'আমরা বিস্মিত হয়েছি। ওয়ার্কিং গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদেরই অবহেলা পাওয়া যাবে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাবার পরিবেশন কোম্পানিটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এটি জঘন্যতম অমার্জনীয় অপরাধ। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব এবং রেলের কারও গাফিলতি পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আমরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি : এস এ করপোরেশন
সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের দুটি ট্রেনে খাবার পরিবেশনের কাজ করে কুমিলস্নার এস এ করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি স্বত্বাধিকারী শাহ আলম বলেন, 'ট্রেনে জিআরপি পুলিশসহ নানা উইং কাজ করে থাকে। সেখানে এ ধরনের ঘটনা খুবই অবাক করার মতো। এখন ভিকটিম মামলা করেছে। আমরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের কোম্পানির সুনামের বিষয় জড়িত। আমাদের কোনো কর্মী অপরাধে জড়িত প্রমাণ হলে আইন মতো যা হওয়ার তাই হবে। আমরা সহযোগিতা করব।'
৫ বছরে ৮ ঘটনায় জড়িত কর্মচারীরা
রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে ট্রেনে ৮টি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় জড়িতরা বেশির ভাগই রেল কর্মচারী। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে এলে ১৩ বছর বয়সি শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী ভুল করে ওই ট্রেনে চড়েন। চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় অ্যাটেন্ডেন্ট আক্কাস আলী মেয়েটিকে তার কক্ষে নিয়ে যান। পরে একটি ফাঁকা কেবিনে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন ওই অ্যাটেন্ডেন্ট। পরে মেয়েটির চিৎকারে ট্রেনের যাত্রীরা কেবিন থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। অ্যাটেন্ডেন্টকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি রাজশাহী রেলস্টেশন মাস্টার মঈন উদ্দীন ধর্ষণ করেন দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে। ওই ঘটনায় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন।
একই বছর ২২ জুন সিরাজগঞ্জের শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার পথে আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মো. মমিনুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি সিলেট স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা সুরমা মেইল ট্রেনে ট্রেনের সহকারী জেনারেটর অপারেটর জাহিদ চলন্ত ট্রেনে ১৮ বছর বয়সের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছিল বাবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের কথা ধামাচাপা দিতে চলন্ত ট্রেনেই কিশোরীর গলায় চাপ দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন মিন্টু নামে এক সৎবাবা।
কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিচয় শনাক্তের পর তার সৎবাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তার সৎমেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা গোপন রাখতেই, শ্বাসরোধে হত্যা করে মেয়েকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ২১ আগস্ট ঢাকা রেলস্টেশনের (কমলাপুর) বলাকা কমিউটার ট্রেনের পরিত্যক্ত বগির টয়লেটের ভেতর থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী আসমার লাশ উদ্ধার করা হয়। আসমা আক্তারকে ধর্ষণের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা। আসমা আক্তার পঞ্চগড় থেকে প্রেমিক মারুফ হাসান বাঁধনের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন। এ ঘটনায় আসমা আক্তারের বাবা বাঁধনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বাঁধন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
২০২০ সালের ১৭ ফেব্রম্নয়ারি নাটোরে চলন্ত ট্রেন থেকে নামিয়ে নিলিমা আকতার নামের এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সাবেক স্বামী জালাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ওই স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা কেমন?
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম দাবি করেন, 'বাংলাদেশের ট্রেন মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পড়লেও ট্রেনের অভ্যন্তরে থাকা যাত্রীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার ঘটনার নজির তেমন নেই। রেলওয়ে পুলিশ ও গার্ডরা সার্বক্ষণিক পরিদর্শনে থাকেন। কোনো যাত্রী কোনো অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাৎক্ষণিক। কাজেই যাত্রাকালে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন উঠেনি।'
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'বুধবারের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের বরখাস্ত ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত করেছি। নতুন যেসব বগি আসছে ওইসব বগিতে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আমরা বাকি ট্রেনগুলোতেও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসব। আমাদের কাছে যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ট্রেনে অথবা স্টেশনে কোনো নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে বা শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তাহলে তাদের শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে আদালতের। আমরা শুধু তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। চলন্ত ট্রেনে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা দেখভাল করবে রেলওয়ে পুলিশ। আমরা এমন ঘটনায় তদন্ত করে শুধু চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারি। এরপর আদালত তাদের যে শাস্তি দেয় সেটাই হয়, আদালতের বাইরে আমরা কিছুই করতে পারি না। কোর্ট শাস্তি দিলে আমাদের দ্বিতীয়বার বিচার করার এখতিয়ার নেই।'
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'ধর্ষণের ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। তবেই এসব ঘটনা ঘটবে না। রেলওয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, যাত্রীর নিরাপত্তায় মাত্র কয়েক লাখ টাকা খরচ করে নিরাপত্তা বাড়ায় না। এটি আসলে খুব দুঃখজনক।'
দায়ীদের শাস্তির দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
'উদয়ন এক্সপ্রেস' ট্রেনে এক তরুণীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রেলওয়ের যাত্রী নিরাপত্তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'বিগত ১৫ বছরে রেলে লাখ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। নতুন নতুন রেলপথ, রেলস্টেশন হচ্ছে, ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করে নতুন রেল চালু করা হচ্ছে। রেলে যাত্রী নিরাপত্তায় রেল পুলিশের (জিআরপি) পাশাপাশি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্য বাড়ছে। কিন্তু যাত্রীসেবা ও যাত্রী নিরাপত্তা কোথায় তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রের তথা যাত্রীদের টাকায় জিআরপি ও আরএনবি নামে দুটি বাহিনী পোষার পরও চলন্ত ট্রেনে একজন যাত্রী সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করে, এসব বাহিনী যাত্রী নিরাপত্তায় কতটুকু দায়িত্বহীন ও উদাসীন।'
বিবৃতিতে রেলে যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রকৃত দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। রেলে কর্মরত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের গায়ে প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো সংবলিত পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করা, প্রত্যেক কর্মীর পোশাকের ওপর নেম পেস্নট থাকা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে রেলে যাত্রী নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান।