ইসিতে দলের হিসাব প্রতিবেদন জমা
ভোট ঘিরে আওয়ামী লীগের আয়ে বড় উলস্নম্ফন
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে শক্তিশালী হয়েছে আওয়ামী লীগের কোষাগার। ২০২৩ পঞ্জিকা বছরে দলটি ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছে, যেখানে আগের বছরে এই পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা।
আওয়ামী লীগ গত বছরের ব্যয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। তাতে উদ্বৃত্ত থেকেছে ১৭ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ১৮৯ টাকা। আর বছর শেষে স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০ কোটি ৫৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের নিরীক্ষিত আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় আওয়ামী লীগ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় দলের একটি প্রতিনিধিদল। পরে দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের দলের আয়-ব্যয়ের তথ্য জানান।
আশিকুর রহমান বলেন, মাসিক চাঁদা, অনুদান, মনোনয়নপত্র বিক্রি, ভাড়া, ব্যাংক সুদ ও অন্যান্য খাত থেকে আয় এসেছে। আর ব্যয় হয়েছে বেতন, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নানা খরচ, পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান ইত্যাদি খাতে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর আওয়ামী যে ২৭ কোটি টাকা আয় করেছে, তার মধ্যে ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এসেছে কেবল মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। অন্যান্য ফরম বেচে এসেছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। মাসিক চাঁদা বাবদ আয় হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। মেঘনা ব্যাংক অনুদান হিসেবে দিয়েছে ১ কোটি ১ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২২ পঞ্জিকা বছরে দলটি ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা আয় দেখিয়েছে। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৯ টাকা।
২০২১ সালে আওয়ামী লীগের আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৬৬ টাকা, তহবিল থেকে ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছিল।
মহামারীর প্রথম বছর ২০২০ সালে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা আয় দেখিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা।
২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের আয় ছিল ২১ কোটি টাকা। আর তার আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালে ২৪ কোটি টাকা আয় দেখিয়েছিল দলটি।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে পূর্ববর্তী পঞ্জিকাবর্ষের দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসির কাছে জমা দিতে হয়। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪।
নির্বাচন কমিশনে আসা প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।