শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে : মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি বিএনপির

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি বিএনপির

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রথম দফায় তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ২৯ জুন শনিবার বিকাল তিনটায় নয়াপল্টনের অফিসের সামনে এ সমাবেশ হবে। এরপর ১ জুলাই সোমবার মহানগর, ৩ জুলাই জেলা পর্যায়ের সমাবেশ হবে।

বুধবার দুপুরে দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপিসহ দলের অঙ্গসংগঠনের এই যৌথ সভা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে। এই মুক্তির আন্দোলনকে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই লক্ষ্যে যৌথ সভায় কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদপিন্ডে 'পেস মেকার' বসানো হয়েছে। তার শারীরিক এ অবস্থায় মুক্তি আন্দোলন কেন করতে যাচ্ছেন তার ব্যাখ্যা দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মৃতু্যর সঙ্গে লড়ছেন। কিছুদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে আসতে হয়। এবার তার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কঠিন ছিল যদি ঠিক সময়ের মধ্যে ডাক্তার চিকিৎসা দিতে না পারতেন। এই অবস্থার মধ্যে চিকিৎসকরা বারবার বলেছেন, তাকে বাইরে উন্নত কেন্দ্রে নেওয়া উচিত। কিন্তু সরকার তাকে যেতে দিচ্ছে না। তারা পরিকল্পিতভাবে আদালতকে ব্যবহার করে সেটা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এজন্য বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন জোরদার করার।

এই আন্দোলন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করা হবে উলেস্নখ করে মির্জা ফখরুল বলেন,

'আমাদের এই দাবি জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করছি। আমরা জনগণের কাছে প্রত্যাশা করব, জনগণ খালেদা জিয়াকে তার প্রাণ রক্ষা করা, তাকে মুক্ত বাতাসে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে এবং তারা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আমরা আশা করি, মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে আপামর জনসাধারণ একাত্ম হবেন।'

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে সরকার আটক করে রেখেছে। এটা আইনবিরোধী, এটা সংবিধানবিরোধী। যেকোনো সাধারণ একজন মানুষের যদি পাঁচ বছরের সাজা হয়, তিনি জামিন পেয়ে যান। আওয়ামী লীগের নেতাদের এই ধরনের সাজা হওয়ার পরে তাদের প্রত্যেককে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে- তাদের মধ্যে কেউ মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন, কেউ এমপি নমিনেশন পেয়েছেন। তাহলে শুধুমাত্র বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারেই কেন, এটার মানে হচ্ছে এরা (সরকার) বিধানটাকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন। আপনি জামিন দিতে পারবেন না এরকম কোনো বিধান নেই।

তিনি বলেন, 'এটা তার প্রাপ্য, এটা সাংবিধানিক অধিকার। এখনো উনার মামলা সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেইন্ডিং আছে। সুতরাং এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ যে, তারা (সরকার) পরিকল্পিতভাবে তাকে কারাগারে আটক করে রাখছে- সেটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে