ঋতুচক্রের পালাবদলে এসেছে আষাঢ়। আষাঢ়ের প্রথম দিন শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আকাশ ছিল কালো মেঘে ডাকা। দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মাথায়। কেমন যাবে খুশির ঈদের দিনটা। ঈদের জামাত মাঠে হবে না মসজিদে। কোরবানি কোথায় করা সম্ভব হবে এর সবকিছুই নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর। এরমধ্যে ঈদের দিন দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঈদের দিন কোথাও হালকা আবার কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। সারা দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয়
থাকায় সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি থাকতে পারে। ঈদের আগের দিন রোববার, ঈদের দিন সোমবার ছাড়া মঙ্গলবারও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার আবহাওযার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৭ জুন সোমবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। বর্ষা মৌসুমি বায়ূ প্রবাহ সারাদেশেই সক্রিয় হয়েছে। সে অনুযায়ী সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে-ঈদের দিনও সেভাবে বৃষ্টি থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঈদের দিনও বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অঞ্চল ভেদে বৃষ্টির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অন্য অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময় চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া ঈদের দিন সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্থিভাব বিরাজ করতে পারে। এ ছাড়া সারাদিনই আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।