ঈদুল আজহা

শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে যানজট

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঈদুল আজহার আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বিশেষ করে যারা ঈদ করতে ঢাকার বাইরে গেছেন, তাদের বেশ খানিকটা সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী, কল্যাণপুর, তেজগাঁও, সাতরাস্তা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাজধানীর মহাখালী এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল \হথেকে শুরু করে একদিক দিয়ে যানজট পৌঁছেছে বনানী পর্যন্ত। অন্যদিক দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে যানজট তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা হয়ে সাতরাস্তা পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া রাস্তায়ও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দারুস সালাম এলাকায়? সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,? ঢাকা ঢোকার প্রবেশপথে পর্বতা সিগন্যালে আটকে যায় ঈদ যাত্রীকে নামিয়ে আসা ফিরতি বাসসহ সব পরিবহণ। পর্বতা সিগন্যাল থেকে দারুস সালাম মাজার রোড পর্যন্ত ছিল যানজট। দীর্ঘ সময় গাড়ি আটকে থাকছে সিগন্যালের কারণে। অন্যদিকে ঈদযাত্রার বাসসহ অন্যান্য পরিবহণ একইভাবে টেকনিক্যাল, মাজার রোড ক্রসিং, গাবতলী বাস টার্মিনাল হয়ে পর্বতা সিগন্যাল পার হতে সময় লাগছে অন্তত আধাঘণ্টা। ডিএমপি?র ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুব আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আজ (বৃহস্পতিবার) ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। স্বাভাবিকভাবে অন্যদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। এদিন সকাল থেকে দারুস সালাম, মাজার রোড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদযাত্রার গাড়িগুলোর চাপ রয়েছে রাস্তায়। বেলা যত গড়াচ্ছে যানজট ততই বেড়েছে। ঈদযাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট থাকবে।' ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস, যানজট হবে এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া মহাখালীতে আন্তঃজেলা একটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। সকাল থেকে বাস টার্মিনাল থেকে ঈদযাত্রার দূরপালস্নার গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে মহাখালী থেকে শুরু করে এর আশপাশ এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।