বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে দুদকের আইনজীবী
প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, 'বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন দুদক কমিশন যদি মনে করে তাহলে মামলা হবে।' বৃহস্পতিবার দুপুরে খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন।
এদিকে, বেনজীর পরিবারের নামে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ দুদক আগেই পেয়েছিল। নতুন করে সংস্থাটি আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।
এ ছাড়া দুদক বেনজীর পরিবারের আরও প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমির খোঁজ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বুধবার নতুন করে খোঁজ পাওয়া বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
আদালত এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার
পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বেনজীর পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে তা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, সম্পদ অনুসন্ধান চলার মধ্যেই বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবারে দেশ ছাড়েন। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র?্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।