যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু সম্প্রতি ঢাকা ঘুরে গেছেন। তার সফর ঘিরে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে বরফ গলার বার্তা ছিল। কিন্তু গত ২০ মে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন মনোভাব কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। তবে এবার সেই জল্পনার ডালপালা ছেঁটে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন প্রভাবশালী দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড লু জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে লু বলেন, 'আমরা পেছনে নয়, সামনের দিকে তাকাতে চাই।'
বুধবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে মার্কিন এই সংবাদ মাধ্যমটি। ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার হয়ে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শতরূপা বড়ুয়া।
প্রশ্ন: আপনার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে আপনি বলেছেন যে বাংলাদেশে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয় এবং এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা উৎসাহিত হয়, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কিছু উদ্যোগের কারণে দুই দেশের সম্পর্কে এক ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে এখন আর পেছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের আস্থার জায়গাটি ফিরিয়ে আনতেও কাজ করার কথা বলেছেন।
এটি কি বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের একটি ইঙ্গিত, যেখানে আপনারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্র সুরক্ষা ও প্রসারের বদলে ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোতে বেশি মনোযোগ দিতে চান?
ডোনাল্ড লু: এই সাক্ষাৎকারে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। 'আমার সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় আমি যেমনটি বলেছিলাম, আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি, পেছনে নয়।'
আমরা বিস্তৃত পরিসরে বিভিন্ন ইসু্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রস্তুত ও আগ্রহী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর হবে। নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় আমরা আমাদের অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নিতে চাই। আমরা ইতোমধ্যে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা অংশীদারত্বের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে নিজেদের অভিন্ন অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। (সেই সঙ্গে) বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন আমাদের জন্য একটি অগ্রাধিকার। আমরা সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সমর্থন করে যাব এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখব। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্তকারী সহিংসতার নিন্দায় আমরা সোচ্চার ছিলাম এবং আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে এবং যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনারও অনুরোধ করেছি।
এসব বিষয় নিয়ে (সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে) আমাদের যোগাযোগ থাকবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ইসু্যতে, যার মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও রয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি 'নমনীয়' ভূমিকা নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করেছে। আপনি এ সমালোচনার ব্যাপারে কী বলবেন?
ডোনাল্ড লু: যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান নিশ্চিত করার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। পুরো নির্বাচনকালীন সময়ে আমরা নিয়মিত বাংলাদেশের সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার কাজে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে তাদের একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।
প্রশ্ন: আপনার সাম্প্রতিক সফরে আপনি সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেও নির্বাচন বর্জনকারী বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেননি। আপনার সাম্প্রতিক সফরে কেন বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা না করার সিদ্ধান্ত নিলেন?
ডোনাল্ড লু: এটা সত্য, গত বছর নির্বাচনের আগে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা প্রাক্?-নির্বাচনের সময় নয়, তাই এবারের সফরে আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করিনি।
এবার ঢাকায় থাকাকালে আমার সৌভাগ্য হয়েছে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার। (এর মধ্যে ছিলেন) সুশীল সমাজের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সঙ্গেও আমি দেখা করেছি, যারা আমাকে বোলিং ও ব্যাটিং সম্পর্কে দু-একটি ব্যাপার শিখিয়েছেন।
প্রশ্ন: আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও আর্থিক সুশাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আপনার সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়েরই অংশ? আপনি কি (দুর্নীতিসংক্রান্ত) এসব বিষয় সমাধানের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা করার সদিচ্ছা নিয়ে সন্তুষ্ট?
ডোনাল্ড লু: আমি যখন আলবেনিয়া ও কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে রাষ্ট্রদূত ছিলাম, আমরা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছিলাম। এটি তখনকার (আলবেনীয়) সরকারের কাছে জনপ্রিয় ছিল না, কিন্তু এখন সেই নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সবাই কারাগারে। সারা বিশ্বের সমাজ দুর্নীতির বিচার দেখতে আগ্রহী।
আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ এবং গত ২০ মে আমরা ৭০৩১ (সি) ধারার অধীনে সাবেক জেনারেল আজিজ আহমেদের উলেস্নখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে 'পাবলিক ডেজিগনেশন' (এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা) ঘোষণা করি। দুর্নীতির এসব অভিযোগের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা ব্যাপারটিকে স্বাগত জানাই। আমি আশা করি, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করে যাব।
প্রশ্ন: আমরা কি অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য উচ্চ প্রোফাইলের বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি দেখতে পাব?
ডোনাল্ড লু: যখন আমাদের কাছে উলেস্নখযোগ্য দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তখন আমরা সারা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধের আকারে প্রকাশ্যে পদক্ষেপ নেই। আমাদের আইনগুলো আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা তাদের দুর্নীতির অর্থের গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট। আমি আশা করি, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করে যাব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ মে অভিযোগ করেছেন, পূর্ব তিমুরের মতো বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভূখন্ডে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, তিনি যদি বাংলাদেশে একটি বিমানঘাঁটি স্থাপনের জন্য একটি দেশকে অনুমতি দিতেন, তবে গত জানুয়ারিতে তাকে ঝামেলামুক্ত পুনর্র্র্র্র্র্র্নির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উলেস্নখ না করলেও বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করেই এ বক্তব্য দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রস্তাবটি এসেছে একজন সাদা মানুষের কাছ থেকে।...আমি যদি একটি নির্দিষ্ট দেশকে বাংলাদেশে একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দিতাম, তাহলে আমার কোনো সমস্যা হতো না।' যুক্তরাষ্ট্র কি কখনো বাংলাদেশে একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে?
ডোনাল্ড লু: এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। নির্বাচনের সময় আমাদের অগ্রাধিকার ছিল শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা।
প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরীক্ষণের জন্য আপনি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে বিনা মূল্যে স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? আপনার মতে, দুই দেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোন কোন ক্ষেত্রগুলো অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত?
ডোনাল্ড লু: মে মাসে ঢাকা সফরের সময় প্রচন্ড গরমে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি আমি নিজেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনুভব করেছি। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। আমরা ক্লিন এনার্জি ক্যাপাসিটি গড়ে তোলা, কৃষি ও বিদু্যতের মতো খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো, জীববৈচিত্র্য বজায় রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে পরিবেশ সংরক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করছি। (এ বিষয়ে) বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল। একটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, যা স্বাধীন ও উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যাপারে এমন একটা অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতিতে বাংলাদেশ কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে? এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলো কী?
ডোনাল্ড লু: একটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, যা স্বাধীন ও উন্মুক্ত, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যাপারে এমন একটা অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে। একটি গতিশীল ও দ্রম্নত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তাকে এ অঞ্চলের বাণিজ্য প্রসারের একটা সেতু এবং এই অঞ্চলে সমৃদ্ধির নোঙর হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা এই অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উন্নয়নে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করছি। এসব ইসু্যসহ অন্যান্য ইসু্যর সমন্বয়, আমাদের উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।