পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় থাকা আরও জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন বলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জানান, ঢাকার ভেতরের সম্পত্তির মধ্যে গুলশানে তিন কাঠা জমি, বাড্ডায় ৩ হাজার ৭৫ বর্গফুটের দুটি এবং আদাবরে ছয়টি ফ্ল্যাট; নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা এবং বান্দরবানে ২৫ একর জমি জব্দ করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে সিটিজেন টেলিভিশন এবং টাইগেরাফিট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার, শতভাগ মালিকানাধীন ৮টি এবং আংশিক মালিকানাধীন ১৫টি সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশও এসেছে। সাবেক আইজিপি বেনজীর, তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই কন্যা ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর এসব সম্পত্তির মালিক।
সাবেকর্ যাব ও পুলিশপ্রধান বেনজীর চাকরি জীবনে এত সম্পদ কীভাবে তিনি গড়লেন, এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। তবে তাদের তলবে ৬ জুন বেনজীর এবং ৯ জুন তার স্ত্রী-কন্যারা হাজির হননি। সময়ের আবেদন পাওয়ার
পর তাদের আগামী ২৩ ও ২৪ জুন আবার সময় দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিবারটির সদস্যদের নামে উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, বান্দরবান, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনেও শত শত বিঘা জমি আছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এপ্রিলের শেষে বেনজীর এবং তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদকে আবেদন করেন।
এরপর ২২ এপ্রিল দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, বেনজীর আহমেদের 'অবৈধ সম্পদ' নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন তারা।