বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। কোরবানির ঈদে স্বজনদের কাছে যেতে যারা গত ২ জুন অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন, তারাই বুধবার ট্রেনে উঠেছেন গন্তব্যে পৌঁছাতে। ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে ছিল ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়। কিন্তু ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা। কাঙ্ক্ষিত ট্রেন পেতে তীব্র গরমের মধ্যে যাত্রীদের এক থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে শুরু হচ্ছে সড়ক পথের ঈদযাত্রা। ট্রেনের মতো এখানে বাসে যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি। তবে অনলাইনে টিকিট সংকটের কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা। আর বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিট মিললেও বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকেই নৌপথে যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে। এজন্য ঈদযাত্রায় প্রস্তুত
রাখা হয়েছে লঞ্চ। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য নৌ-কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি।
ঈদের আগে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি অফিসগুলোর শেষ কার্যদিবস হওয়ায় অনেকেই অফিস শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে স্টেশনগুলোতে ছুটে যাবেন। ফলে সড়ক, নৌ ও রেল- তিন মাধ্যমেই যাত্রীদের মূল চাপ বাড়বে আজ থেকে।
বুধবার কমলপুর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, দিনের প্রথম ট্রেন রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশন ছেড়েছে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। দিনের দ্বিতীয় ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়েছে ৬টা ৫০ মিনিটে। সিলেটের পারাবাত এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জের এগারো সিন্ধুর এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়তে দেরি করায় পস্ন্যাটফর্মে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় যাত্রীদের। সিলেটগামী পারাবাত এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল সকাল সাড়ে ৬টায়, সেই ট্রেন ছেড়েছে সকাল সাড়ে ৮টায়। কিশোরগঞ্জের এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ছাড়ার সময় ৭টা ১৫ মিনিটে। সাড়ে ৮টার সময়ও যাত্রীরা ট্রেনের জন্য পস্ন্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। আর চট্টগ্রাম রুটের মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস পৌনে ৮টায় যাওয়ার কথা, সেই ট্রেনও ১৫ মিনিট দেরি করে বেলা ৮টায় ছেড়ে যায়। অন্যদিকে, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন ৯টা ২৫ মিনিটে ছাড়ার কথা, বেলা মাড়ে ১০টার সময়ও ট্রেনটি ছেড়ে যায়নি।
রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। অনেকেই পস্ন্যাটফর্মে বসে আছেন, আবার যাদের ট্রেন স্টেশনে এসে পৌঁছেছে, তারা আসনে গিয়ে বসে অপেক্ষা করছেন যাত্রা শুরুর। কিন্তু তাদের ঈদযাত্রা কখন শুরু হবে, তা জানেন না কেউই।
পারাবাত এক্সপ্রেস'র যাত্রী শিক্ষার্থী মুরাদ সরকার বলেন, 'সোয়া ৭টায় একবার ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দিয়েছিল, ট্রেন এসেছে আরও এক ঘণ্টা পর।'
এগারো সিন্ধুর প্রভাতীর যাত্রী আরিফুল ইসলাম ঈদের ছুটিতে স্ত্রী-সন্তানদের ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর আসেন ঢাকার বাড্ডা থেকে। তিনি বলেন, 'ওরা (স্ত্রী-সন্তান) কিশোরগঞ্জ নেমে করিমগঞ্জ যাবে। সোয়া ৭টায় যাওয়ার কথা এখনো পস্ন্যাটফর্মেই ট্রেন আসেনি। গরমে বাচ্চারা বিরক্ত হয়ে গেছে, বলছে বাসায় ফিরে যাবে।'
এগারো সিন্দুর প্রভাতী ট্রেনের যাত্রী রাতুল যাচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জ। তিনি বলেন, সোয়া ৭টায় ট্রেন ছাড়ার কথা কিন্তু এখন ৯টার ওপর বাজে, ট্রেন ছাড়েনি। কেন ছাড়েনি তা বলতে পারছি না।
বাজিতপুর যাবেন আব্দুল বাছেদ। তিনিও উঠেছেন এগারো সিন্দুর প্রভাতী ট্রেনে। তিনি বলেন, 'আমি ৬টা ৪০ মিনিটে স্টেশনে এসেছি, সোয়া ৭টায় ট্রেন ছাড়ার কথা। এখন সোয়া ৯টা বেজে গেল, কিন্তু ট্রেন ছাড়ছে না। কিছু বলছেও না কখন ছাড়বে। ঠিক সময়ে ছাড়লে আমি এতক্ষণে পৌঁছে যেতাম।
আরেক যাত্রী ডা. সোহেল রানা রিপন যাবেন রংপুর। সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে এসেছেন। তিনি বলেন, '৯টা ১০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা। কিন্তু এখন সাড়ে ৯টা বেজে গেছে। কিন্তু ট্রেনই আসেনি পস্ন্যাটফর্মে। কখন ট্রেন আসবে, কখন ছাড়বে বলা যাচ্ছে না।'
রংপুর এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, 'আমি যাবো কুড়িগ্রাম, সাড়ে ৮টায় এসেছি। ট্রেন ছাড়ার কথা ৯টা ১০ মিনিটে। এখন পৌনে ১০টা বাজে, কিন্তু ট্রেন ছাড়েনি।'
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বাসিন্দা জেসিন আহমেদ। গ্রামের বাড়িতে যেতে সকাল সোয়া ছয়টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে মহুয়া কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাটেন তিনি। ট্রেন ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৮টা ১৫ মিনিট। বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়েনি।
জেসিন আহমেদ বলেন, 'চার ঘণ্টার বেশি হয়ে গেল। এখনো ট্রেনই আসেনি। আসলেও কখন যে ছাড়বে, ঠিক নাই। অপেক্ষা করতে করতে খারাপ লাগছে।'
স্টেশনে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, 'সাড়ে ৯টায় স্টেশনে এসেছি। ভেতরে ঢুকতে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এসে দেখলাম ট্রেনটি এখনো কমলাপুরে আসেনি। কখন ছাড়বে কিছু জানতে পারছি না।' সর্বশেষ ১১টা ২৪ মিনিটে ট্রেনটি ৪ নম্বর পস্ন্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, 'ঈদের আগে প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৬৯টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১২টি ট্রেন ছেড়েছে।'
মাসুদ সারওয়ার বলেন, 'সকালে পারাবাত এক্সপ্রেস এবং এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস কিছুটা দেরি করেছে। বাকি ট্রেনগুলো খুব বেশি দেরি করেনি।'
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বুধবার থেকে ১০ জোড়া (২০টি) ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ঈদযাত্রার ভিন্ন ভিন্ন দিনে চলাচল করবে এসব ট্রেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রার সুবিধার্থে এই ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রথম স্পেশাল ট্রেনটিই যেতে পারেনি সময়মতো, ঢাকা ছাড়তে হয়েছে ১ ঘণ্টা দেরিতে।
রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদুল আজহায় চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১, ২, ৩ ও ৪) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৮ ও ৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরে সাত দিন চলাচল করবে।
এছাড়া পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে আগামী ১৩-১৫ জুন (৩ দিন) ও ঈদের পরে ২১-২৩ জুন (৩ দিন) চলাচল করবে।
অন্যদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৭ ও ১৮) পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পার্বতীপুর; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৯ ও ২০) ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।
বাসে টিকিট সংকট
এদিকে, সড়ক পথে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদযাত্রা। যারা ট্রেনের টিকিট মেলাতে পারেননি তারা বাসে চেপে বসবেন। তবে বাসেও টিকিটের সংকটের কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা। অন্য সময়ের তুলনায় ঈদে সাধারণত বাসের টিকিটের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সুযোগে টিকিটের দাম বাড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।
রাজধানীর তিনটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালী এবং কল্যাণপুরে বিভিন্ন বাসের কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, চাহিদার তুলনায় টিকিট অপর্যাপ্ত। বেশি দামেও মিলছে না টিকিট। বাস কোম্পানিগুলো বলছে, ১৩, ১৪ ও ১৫ জুনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ উঠেছে, এ তিন দিনের বাসের টিকিটের দামও বেশি।
সায়েদাবাদে শ্যামলী পরিবহণের কাউন্টার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'ঢাকা-বরিশাল রুটে টিকিটের দাম ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫০ টাকা হয়েছে। ঈদের সময় ঢাকা থেকে যাত্রাকালে ৩৬ যাত্রী পাওয়া গেলেও ফেরার সময় কখনো কখনো দু'জনও পাওয়া যায় না। তাই খরচ পোষাতে দাম সামান্য বাড়াতে হয়েছে।'
জানা গেছে, বাসের টিকিটের বেশি সংকট উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের। অনলাইনে টিকিট নেই। কাউন্টারে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট বুকিং দিতে হচ্ছে। অনলাইনে বাসের কোনো টিকিট নেই।
মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে জানা যায়, এখান থেকে যেসব বাস ছাড়ে, সেগুলোর টিকিট অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা নেই। ঈদের সময়েও বাস ছাড়ার আগে কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে হয়।
উত্তরে উড়বে পুলিশের ড্রোন: গত ঈদুল ফিতরের মতো উত্তরাঞ্চলে এবার কোরবানির ঈদযাত্রাও নির্ঝঞ্ঝাট হবে বলে আশা করছে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক থেকে জেলার সবগুলো রুট স্বাভাবিক থাকায় এবার যানজট ও দুর্ভোগের আশঙ্কা অনেকটাই কম বলে দাবি তাদের।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. জাফর উলস্নাহ বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় পৌনে ৮০০ পুলিশ মহাসড়কে দায়িত্বরত থাকবে। ঈদযাত্রার শুরুর দিন থেকেই মহাসড়ক মনিটরিংয়ের জন্য ওড়ানো হবে ড্রোন ক্যামেরা।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়বে। পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতিতি মোকাবিলার জন্য।
নৌপথে বিশেষ নজরদারি
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার থেকেই এ চাপ শুরু হয়। বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি নৌরুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোর ৭০ শতাংশের বেশি কেবিন এরই মধ্যে বুকিং হয়েছে। ১৪, ১৫ এবং ১৬ জুনের কেবিনের চাহিদা বেশি।
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের মালিক আবুল কালাম খান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অনলাইনেই কেবিনগুলো আগেভাগে বুকিং হয়েছে। যাত্রীর চাপ না থাকায় এখনো ডেকের যাত্রীরা এসে জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। লঞ্চের কোনো সংকট হবে না।'
বিআইডবিস্নউটিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টার্মিনাল এলাকায় বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে যেতে পারবে না। আবহাওয়া খারাপ হলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। টার্মিনাল এলাকায় নৌ-পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যের্ যাব ও বিআইডবিস্নউটিএর টিম কার্যক্রম শুরু করবে।
এছাড়া কোরবানির পশুসহ অন্যান্য পণ্যবাহী নৌযান নৌপথে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে নৌপুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে জানান নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নৌপথে যেকোনো সমস্যায় নৌপুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০১৩২০১৬৯৫৯৮ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে নৌপুলিশকে অবগত করলে নৌ-পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ঈদুল আজহা উদযাপনে নৌপথ ব্যবহারকারী প্রত্যকেই যেন নিরাপদে তাদের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন এবং ব্যবসায়ীরা যেন নির্বিঘ্নে পণ্য ও কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যেতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে নৌপুলিশ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোয় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করবে।'