শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১
ট্রাকে নগরীতে আসছে পশু

চট্টগ্রামে পশুর হাটে বেচাকেনা শুরু

খোরশেদুল আলম শামীম, চট্টগ্রাম
  ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামে পশুর হাটে বেচাকেনা শুরু

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে চট্টগ্রামের পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। নগরীর স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটগুলোতে দেশের দূরদূরান্তের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে করে আসছে পশু। চলছে দেখা-দেখি আর মোবাইল ফোনে ছবি তোলা। সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, হাটের চিরচেনা সেই পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। ইজারাদাররা বলছেন, ঈদুল আজহার দিন পর্যন্ত পশুর বাজার চলবে। আর শেষের দিকে এসে পুরোপুরি জমে উঠবে।

এবার নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসিয়েছে। এগুলো হলো- কর্ণফুলী পশুর বাজার (নুর নগর হাউজিং এস্টেট), ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রম্নপের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদপাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড় ও ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডের সিডিএ বালুর মাঠ। এ ছাড়া রয়েছে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট। এর মধ্যে রয়েছে- বিবিরহাট গরুর বাজার, সাগরিকা গরুর বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি খুঁটি বানানো হয়েছে কোরবানির পশুগুলো বেঁধে রাখার জন্য। ট্রাক থেকে গরু নামানোর জন্য করা হয়েছে বালির স্তূপ। বৃষ্টি থেকে পশুগুলোকে সুরক্ষা দিতে টানানো হচ্ছে ত্রিপল। বেপারীরা বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছেন বাজারগুলোতে।

ট্রাকভর্তি বড় আকারের গরু নিয়ে নুরনগর হাউজিং এস্টেটে (কর্ণফুলী পশুর হাট) এসেছেন দিনাজপুরের বেপারী মোতালেব শেখ। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরেই এই হাটে গরু নিয়ে আসেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন বেপারী এসেছেন গরু নিয়ে। প্রতিটি গরু ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রির আশা করছেন তিনি।

নুরনগর হাউজিং এস্টেট পশুর হাটের ইজারাদার সাইফুল আলম বলেন, 'কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য আমাদের হাট প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত। হাটের বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সবগুলো শর্ত প্রতিপালনের বিষয়ে আমরা সজাগ।'

তিনি আরও বলেন, 'কোরবানি সামনে রেখে নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে গরু বেচাকেনার কারণে হাটের ইজারাদাররা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। আমরা লাখ লাখ টাকা দিয়ে বাজার ইজারা নিই আর ওরা যেখানে-সেখানে ছোট ছোট বাজার বসিয়ে পুরো নগরীতে গরুর হাটে পরিণত করে। এ ধরনের হাট যাতে কেউ বসাতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।'

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, 'নগরীতে অবৈধভাবে কেউ যাতে যেখানে-সেখানে অলিগলিতে পশু বেচাকেনার হাট বসাতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ ধরনের অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনা করা হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে