মিয়ানমার কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৫ জন বাংলাদেশি। অপরদিকে, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে সংঘর্ষের জেরে পালিয়ে এসে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া আরও ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়াস্থ বিআইডবিস্নউটির জেটিঘাট বাঁকখালী নদীর মোহনা এলাকায় এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এর আগে ভোর থেকেই শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডবিস্নউটি ঘাট এলাকায় পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্ট গার্ড এবং গোয়েন্দা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে আনা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশস্থ মিয়ানমারের দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে ইমিগ্রেশন ও ডকুমেন্টেশনের কাজ শেষ হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর দুইটি টাগবোট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘাট থেকে যাত্রা করে। বঙ্গোপসাগরে জলসীমার শূন্যরেখায় অবস্থান
নেয়া মিয়ানমার নৌ-বাহিনীর জাহাজে তাদের তুলে দেওয়ার পর জাহাজটি মিয়ানমারের
উদ্দেশে রওনা দেয়।
অপরদিকে, এদিন সকালেই মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে দেশে ফেরত আসা ৪৫ বাংলাদেশি নাগরিককে একই স্থানে আনা হয়। সেখানেই আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাদের হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, 'সীমান্তে মিয়ানমারের বাহিনীর হাতে বিভিন্ন সময়ে আটক ব্যক্তিদের কারাভোগ শেষে ৪৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এরা কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। একইসঙ্গে মিয়ানমারে সংঘাতে ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।'
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাফুজুল ইসলাম জানান, 'মিয়ানমার থেকে আসা ৪৫ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর তাদেরকে শহরের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। পরবর্তীতে তাদেরকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'
এর আগে, দুই দফায় ২৫ এপ্রিল ও ১৫ ফেব্রম্নয়ারি ৬১৮ জনকে মিয়ামারে ফেরত পাঠানো হয়। একই সঙ্গে গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে দীর্ঘ কারাভোগ শেষে ফেরত আনা হয়েছে আরও ১৭৩ বাংলাদেশিকে।