দলীয় প্রতীক পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আইন করে দলীয় প্রতীক পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'আইনটা এমনভাবে করা আছে- ভোট দলীয় প্রতীকে হতে পারে, আবার নির্দলীয় প্রতীকে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।' শনিবার 'স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার' শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সেমিনারের আয়োজন করে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি (আরএফইডি)। ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকারের আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন হয়। এখনো আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। যদিও এবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেয়নি। এ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, 'ডেমোক্র্যাসির সুযোগ থাকার কারণে মানুষ এই বিতর্ক করতে পারছে। বিতর্ক থাকবে না এটা ঠিক না। দলীয় প্রতীক কিংবা দলীয় প্রতীকহীন- আমি দুইটির কোনোটার পক্ষে-বিপক্ষে নই।' জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এমন কোনো লিগ্যাল ফ্রেম (আইনি কাঠামো) নেই বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, 'একীভূত আইন মাদার ল' করে এক আইনের মধ্যে করতে পারি। আমাদের সময় এসেছে ভাবার এগুলো একীভূত করা যায় কি না। অর্ধেকের বেশি পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না। গ্রাম ও শহরের বিভক্তি খুব ক্ষীণ হয়ে গেছে। যদি আমরা মাদার ল' করি- অবশ্যই এখানে মার্কা (প্রতীক) থাকবে। একক তফসিলে একই দিনে ভোট করা সম্ভব, নির্বাচনের খরচ কমবে।' তবে উপজেলা স্বতন্ত্র ইউনিট হবে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, '(স্থানীয় সরকার নির্বাচনে) প্রতীক হওয়ার কথা ছিল না। প্রতীক দেওয়ার অর্থ হচ্ছে কেন্দ্রের হাতে থাকা। প্রতীক না দিলে যে সুবিধা হয় প্রচুর লোক এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে। একটা দলের সুবিধা-অসুবিধার জন্য এই প্রতীক আনা হয়েছে। প্রতীকের কোনো প্রয়োজন নেই। আগে যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকুক।'