সাত খাতে গ্যাস সংকটের ধাক্কা
গ্যাসের অভাবে কম খরচের বিদু্যৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে বেশি খরচে বিদু্যৎ উৎপাদন করায় লোকসান বাড়ছে পিডিবির। এছাড়া সার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কৃষি খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা
প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
সাখাওয়াত হোসেন
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বঙ্গোপসাগরে থাকা দুটি ভাসমান তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনালের একটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমে যাওয়ায় গ্যাস সংকট আরও তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। ফলে ভারী শিল্প, বস্ত্র, তৈরি পোশাক, সিরামিকস, সার, বিদু্যৎ ও পরিবহণের সিএনজি- এই সাত খাতে বড় ধাক্কা লেগেছে।
এদিকে দেশে গ্যাস সংকট কতটা তীব্র হয়েছে, তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট চিত্র পাওয়া গেছে। পেট্রোবাংলার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (টিজিটিডিসিএল) বিভিন্ন বিদু্যৎকেন্দ্রে চাহিদা ছিল ৮৯২ মিলিয়ন ঘনফুট। অথচ এদিনে সরবরাহ করা হয় ২৭২ মিলিয়ন ঘনফুট। একইদিন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) ৪২৩.৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয় ১৯৮.৭ মিলিয়ন ঘনফুট। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) চাহিদা ছিল ১৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট; সরবরাহ ৩৭.৫ মিলিয়ন ঘনফুট। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের (জেজিটিডিএসএল) ৩৯৫ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে ২৮০.৪ মিলিয়ন ঘনফুট; পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) ২৪৭ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ৮৫.১ মিলিয়ন ঘনফুট এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে ১০২.২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
এছাড়া টিজিটিডিসিএল এর আওতাধীন সার কারখানা জেএফসিএল'এ ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ২.৫ মিলিয়ন ঘনফুট এবং জিপিএফপিএলসি'এ ৭২ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ৫৪.৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বিজিডিসিএল'র আওতাধীন এএফসিএল সার কারখানায় ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে কোনো গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি। কেজিডিসিএল'এর আওতাধীন সিইউএফএল সার কারখানায় ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ৩.৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং কাফকো সার কারখানায় ৬৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের বিপরীতে ৪৬.৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। জেজিটিডিএসএল'র আওতাধীন সার কারখানা এসএফসিএল'এ ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ করা হয় মাত্র ৩.৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এ হিসাবে ৪ জুন গ্যাস সরবরাহকারী ওই ৬টি কোম্পানির বিদু্যৎ উৎপাদন খাতে মোট চাহিদা ছিল ২ হাজার ৩১৬.৯ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে সরবরাহ করা হয় ৯৭৬.৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। অর্থাৎ এ দিন মোট চাহিদার মাত্র ৪৫.৯৮ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
একইদিন সার কারখানাগুলোতে মোট চাহিদা ছিল ৩২৯ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে জোগান দেওয়া হয়েছে মাত্র ১১০.৬ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ মোট চাহিদার মাত্র ৩৩.৪৩ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছে।
এদিকে গ্যাসের অভাবে সার ও বিদু্যৎ খাতেও উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি এ দুই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিঃসংকোচে স্বীকার করেছেন। তারা জানান, গ্যাসের অভাবে কম খরচের বিদু্যৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে বেশি খরচে বিদু্যৎ উৎপাদন করায় লোকসান বাড়ছে বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি)। এছাড়া সার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কৃষি খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিল্পখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্যাসের চাপ (প্রেসার) কম থাকায় তারা উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেকও কাজে লাগাতে পারছে না। এর প্রভাবে রপ্তানিমুখী খাতগুলোতে আদেশ বাতিল হচ্ছে। পূর্ণ উৎপাদন করতে না পারলেও কারখানা চালু রাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মজুরি ও অন্যান্য ব্যয় অব্যাহত থাকছে। এর ফলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
একই অবস্থা বিরাজ করছে পরিবহণ খাতে। বর্তমানে দেশে সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা কমবেশি ১০ লাখের মতো। আর সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা ৫০০টি। বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার ভেতরে মোট বাস ১২ হাজার ৫২৬টি। তার মধ্যে গ্যাসে চলে ১১ হাজার ৯০০টি। ঢাকা থেকে দূরপালস্নার বাস মোট ১৬ হাজার। তার মধ্যে গ্যাসে চলে ১১ হাজার ২০০। সারাদেশে মোট বাস ৭৮ হাজার। তার মধ্যে গ্যাসে চলে ৪৬ হাজার ৮০০টি। এ ছাড়া রয়েছে সিএনজিচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা।
সিএনজি ব্যবসায়ীরা জানান, গ্যাস সংকটের কারণে গাড়িতে সিএনজি দেওয়া যাচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই গ্যাসের চাপ থাকে না। যখন থাকে ১ বা ২ পিএসআইর বেশি হয় না। ফলে প্রতিটি স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে গাড়িতে সিএনজির পরিবর্তে এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করছেন।
এদিকে গ্যাস সংকট যে সহসাই কাটছে না তা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি কবে নাগাদ গ্যাস সরবরাহে যুক্ত হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, 'ওয়ার্ক অর্ডার পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে কবে নাগাদ আবার চালু হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।'
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই গ্যাস সংকট শিগগির সমাধান হচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণে চাহিদার বিপরীতে তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হলেও এর পরিপূর্ণ ফল পেতে আরও দুই থেকে আড়াই বছর লাগবে। ফলে এ বছর তো বটেই, আগামী দুই বছর গ্যাস সংকট অব্যাহত থাকবে। তবে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে রেশনিং করে সরকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, ঢাকাসহ সারা দেশেই শিল্পে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও ফতুলস্নায় গ্যাসের সরবরাহ পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এর পরই রয়েছে রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকা। গাজীপুর, সাভার ও শ্রীপুর অঞ্চলের অবস্থাও একই। এসব এলাকার শতাধিক পোশাক কারখানার উৎপাদন ৮০ শতাংশ কমে গেছে। বিশেষ করে যেসব কারখানায় ক্যাপটিভ পাওয়ার ও গ্যাস বয়লার চালানো হয়, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ, ক্যাপটিভ পাওয়ার গ্যাস ছাড়া তেল দিয়ে চালালে ব্যয় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এতে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়। আর গ্যাস বয়লার তেল দিয়ে চালানো যায় না। ফলে উৎপাদন থেমে থাকে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ বিষয়ে বলেন, সরকারকে গ্যাস সংকটের কথা বলতে বলতে শিল্পমালিকরা হয়রান হয়ে গেছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার কথা বলে দাম বাড়ানো হয়েছিল। এখন বাড়তি দামেও গ্যাস দিতে পারছে না। গ্যাস না পাওয়ার কারণে অর্ধেকে নেমে এসেছে উৎপাদন। শিপমেন্ট শিডিউল ফেইল করার কারণে ক্রেতারা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে অর্ডার বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ঢাকার আশপাশের শিল্প এলাকাগুলোতে ভয়াবহ গ্যাস সংকট চলছে। দিনের বেলায় গ্যাসের প্রেসার থাকছে না। প্রেসার ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি) থাকার কথা থাকলে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ পিএসআই। ফলে ৫০ শতাংশের বেশি উৎপাদন কমেছে এই খাতে। অথচ এই খাত থেকে বছরে ২৮ বিলিয়ন ডলারের কাপড় রপ্তানি হয়। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি মিটার কাপড় উৎপাদন করা হয়। কিন্তু চলতি বছর এর অর্ধেক উৎপাদন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাপটিভ পাওয়ার, বয়লার মেশিনসহ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সব কিছুই গ্যাসে চলে। এখানে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ কম। শুধু গার্মেন্ট খাতে সুইং মেশিন বিদু্যতে চলে। গ্যাস সংকটের কারণে টেক্সটাইল খাত ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বিদেশি বায়ার হারাতে হচ্ছে। এসব বায়ার অন্য দেশে চলে যাচ্ছে।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর জানান, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা মহাবিপাকে পড়েছেন। গ্যাস সংকটের কারণে ব্যবসা করে টিকে থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই খাতের ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিনিয়োগ করেছেন ব্যাংক ঋণ নিয়ে। ব্যবসা না থাকায় ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।
গ্যাস সংকটে উৎপাদনে বড় ধরনের ধস নেমেছে বলে অভিযোগ করেন সিরামিকস শিল্পমালিকরা। তারা জানান, গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদনে বড় ধাক্কা লেগেছে। অনেক কারখানার উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। অথচ শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনসহ আনুষঙ্গিক খরচ আগের মতোই রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা আরও বেড়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে ছোট-মাঝারি অনেক সিরামিকস কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে গ্যাস সংকটে ইস্পাত, সিমেন্ট ও কাঁচসহ ভারী শিল্প কারখানার উদ্যোক্তারা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ গ্যাস সংকটে কারখানা প্রায়ই বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, কয়েক মাস আগে থেকেই ভারী শিল্পে গ্যাস সংকট চলছিল। তবে সম্প্রতি এ সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গ্যাসের চাপ কম থাকায় ভারী শিল্পে উৎপাদন ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে।
মাঝারি আকারের একটি রড কারখানা ব্যবস্থাপক সাঈদ হোসেন জানান, প্রতিদিন ৬০০ টন রড উৎপাদন সক্ষমতার এই কারখানায় গ্যাস-সংকটের কারণে ৪০০ টন রড তৈরি করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই ব্যবস্থাপকের ভাষ্য, চুলিস্ন গরম করতে যেখানে আগে ৪০ মিনিট সময় লাগত, এখন সেখানে গ্যাসের চাপ কম থাকায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে। তাতে গ্যাস-সংকটে উৎপাদন খরচ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে। খরচ বেশি হওয়ায় ৫০ শতাংশের বেশি উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না।
ইস্পাত খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম গ্রম্নপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত জানান, গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ার পর রড তৈরির মধ্যবর্তী কাঁচামাল বিলেট কারখানাগুলো চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন রড তৈরির রোলিং মিলে বিকল্প জ্বালানি তেল ব্যবহার করে উৎপাদন সচল রাখা হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
ইস্পাতের মতো সিমেন্টশিল্পেও গ্যাসসংকটে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সিমেন্টশিল্পে মূলত গ্যাস জেনারেটর চালু রাখতে গ্যাস দরকার। এ ছাড়া কাঁচামাল স্স্ন্যাগ শুকানোর জন্য গ্যাসের দরকার। গ্যাসসংকটে গ্যাস জেনারেটর দিয়ে বিদু্যৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এতে বিদু্যৎ ব্যবহারে খরচ বেড়েছে।