রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

ইংল্যান্ডের টিকে থাকার লড়াইয়ে বাধা অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
ইংল্যান্ডের টিকে থাকার লড়াইয়ে বাধা অস্ট্রেলিয়া

চলতি টি২০ বিশ্বকাপের 'বি' গ্রম্নপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ শনিবার মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের মঞ্চে ১টি করে ম্যাচ শেষ হয়েছে দু'দলের। অস্ট্রেলিয়া জয় পেলেও, পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে ইংলিশদের। এজন্য প্রথম জয়ের সন্ধানে আজ মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। আজকের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে গেলে ইংল্যান্ডের জন্য টুর্নামেন্টে টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে। আর প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়ে নকআউট পর্বে এগিয়ে যাওয়া। ব্রিজটাউনে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি।

বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা এবং অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ ছাড়াও আজ রয়েছে আরও দু'টি খেলা। ক্যারিবীয় দ্বিপুঞ্জের গায়নায় বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। আর যুক্তরাষ্ট্রের নাসু স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।

রাশিদ খান, মুজিব-উর-রাহমান, মোহাম্মদ নাবি, ফাজালহাক ফারুকিদের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ। চলমান টি২০ বিশ্বকাপে এই বোলিং বিভাগকে সেরাদের একটি মনে হচ্ছে কেন উইলিয়ামসনের কাছে। তাই আফগানদের হুমকি হিসেবে দেখছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খুব বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই নিউজিল্যান্ডের। এখন পর্যন্ত খেলা তিন ওয়ানডে ও একটি টি২০ সবক'টি জিতেছে তারাই। সেই আত্মবিশ্বাস স্বাভাবিকভাবেই সঙ্গী কিউইদের।

আর তাই এই দলটিকে বেশ দক্ষ মনে করছেন উইলিয়ামসন। তবে রাশিদদের নিয়ে সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন তিনি, 'অবশ্যই (সতর্ক থাকার মতো) তাদের দলে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছে। সত্যি বলতে, সব খেলোয়াড়ই। এমনই দক্ষ একটা দল তারা। আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতায় সেরা বোলিং আক্রমণগুলোর একটি তাদের। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আফগান খেলোয়াড়দের সংখ্যা, সম্পৃক্ততা আমরা দেখেছি এবং তারা আরও ভালো হয়ে উঠছে। তারা ক্রমে শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা গত বিশ্বকাপে দেখেছি ওয়ানডে সংস্করণেও তারা কতটা শক্তিশালী। সুতরাং তারা সত্যিই অত্যন্তত্ম দক্ষ একটি দল এবং তাদের বেশ কয়েকজন হুমকি।'

এদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। এতে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জশ বাটলারের দলকে। আর তাই বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট হারাতে চায় না ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো। তিনি বলেন, 'প্রথম ম্যাচে আমরা পয়েন্ট হারিয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণ ২ পয়েন্ট চাই আমরা। জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠে নামব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সহজেই জয় আসবে না। ব্যাটার-বোলারদের সেরা পারফরম্যান্স করতে হবে। প্রথম ম্যাচে বোলারদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। আশা করছি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বোলাররা ভালো করবে এবং দলের জয়ে বড় অবদান রাখবে।'

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দুই পেসার মার্ক উড ও জোফরা আর্চার ভালো বল করলেও, বেশি রান দিয়েছেন মঈন আলি, ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদ। ২ ওভার করে বল করে মঈন ১৫, জর্ডান ২৪ ও টি২০-এর এক নম্বর বোলার আদিল দেন ২৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলে, ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হবে বলে মনে করেন বেয়ারস্টো। তিনি বলেন, 'বোলাররা ভালো করলে, ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হবে। প্রথম ম্যাচে বোলাররা বেশি রান দিয়েছে। এজন্য বোলারদের আরও সচেতন হতে হবে এবং ইকোনমি রেটের দিকে নজর দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে থাকে। তাই এ ম্যাচে বোলারদেরই বড় ভূমিকা রাখতে হবে।'

অপরদিকে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি অসিদের। প্রথমে ব্যাট করে মার্কাস স্টয়নিস ও ডেভিড ওয়ার্নারের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৬৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ৯ উইকেটে ১২৫ রান করে ওমান। ৩৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অজিরা। প্রথম ম্যাচে দলের ব্যাটিং-বোলিং পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার স্টয়নিস বলেন, 'ওমানের বিপক্ষে আমাদের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো ছিল্‌। পারফরম্যান্সের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই আমরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেতে হলে তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে। ইংল্যান্ড ভারসাম্যপূর্ণ দল। আশা করছি, দু'দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সত্যি বলতে যে দল ভালো খেলবে, জয়ের হাসি তাদের মুখেই ফুটবে।'

টি২০-তে এখন পর্যন্ত ২৩বার মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। এর মধ্যে অজিদের জয় ১০ ম্যাচে এবং ইংলিশদের জয় ১১ ম্যাচে। দু'টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় ইংল্যান্ড ২টিতে ও অস্ট্রেলিয়া ১টিতে জয় পায়। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১০ ও ২০২১ সালের বিশ্বকাপে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। আর ২০২২ সালের ম্যাচটি হয়েছিল পরিত্যক্ত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে