শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

আজ যায়যায়দিনের ১৯তম জন্মদিন

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
আজ যায়যায়দিনের ১৯তম জন্মদিন

জন্মদিন আসে বারে বারে/মনে করাবারে-/এ জীবন নিত্যই নূতন/প্রতি প্রাতে আলোকিত/পুলকিত/দিনের মতন- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ কবিতার মতো প্রতি প্রাতে আলোকিত হওয়ার একগুচ্ছ প্রত্যাশায় যায়যায়দিনের ১৯তম জন্মদিন আজ।

অন্যায়, অসত্য, অকল্যাণ ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ২০০৬ সালের ৬ জুন যে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন, দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল, আজ তা লাখো পাঠকের মণিকোঠায় স্বগর্বে ঠাঁই করে নিয়েছে। দেশে-বিদেশে সর্বমহলে পরিচিত হয়ে উঠেছে সময়ের সাহসী কণ্ঠস্বরে। নিরপেক্ষতা আর ন্যায়বোধের আদর্শে অটল থেকে আস্থা অর্জন করেছে দেশের ১৮ কোটি মানুষের।

প্রচার সংখ্যায় যায়যায়দিন এখনো শীর্ষে পৌঁছাতে না পারলেও খবরের গুণগতমান ও মর্যাদার দিক থেকে এগিয়ে আছে সমসাময়িক অনেক পত্রিকার চেয়ে। এমনকি এ পালস্নায় পেছনে ফেলে দিয়েছে পুরনো অনেক স্বনামধন্য পত্রিকাকেও, যা সব সময়ই ঈর্ষণীয় হয়ে রয়েছে।

স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার ধারা মেনে এ সংবাদ মাধ্যমটি কোনো দলের মুখপত্র হয়নি। জনগণের পক্ষে কোনো সত্য উচ্চারণে কখনই হয়নি শঙ্কিত। পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে যায়যায়দিনের প্রতিটি সদস্য সব সময় থেকেছেন সর্বোচ্চ সচেষ্ট। যাত্রালগ্ন থেকেই পরিবর্তনের সহযোগী যায়যায়দিন। তাই স্বল্পসময়েই তা জনগণের কাগজ হয়ে উঠেছে।

পথচলার ১৯তম বছরের শুরুতে যায়যায়দিন প্রতিবারের মতো পাঠককুলের হাতে তুলে দিচ্ছে ২৪ পৃষ্ঠার মূল পত্রিকাসহ মোট ৭২ পৃষ্ঠার একটি বর্ষপূর্তি সংখ্যা। এতে লিখেছেন দেশের প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সমাজবিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীরা।

এদিকে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম বর্ণাঢ্যর্ যালি, কেক কাটা, ফল উৎসব, নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের

আয়োজন করেছে। আজ বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এসব অনুষ্ঠান চলবে। বর্ণাঢ্যর্ যালিতে যোগদানকারী সবাইকে টি-শার্ট উপহার দেবে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম।

প্রসঙ্গত, দৈনিক যায়যায়দিন এখন পর্যন্ত দেশের সর্বাধিক প্রযুক্তি সুবিধাসম্পন্ন প্রচার মাধ্যম। পত্রিকাটি ছাপা হয় সর্বাধুনিক নিজস্ব প্রিন্টিং প্রেসে। দেশের সবচেয়ে আধুনিক, সুপরিসর অফিসে নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে শুরু থেকেই। এ কারণে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়েই পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে যায়যায়দিন। জাতীয় দৈনিকের জন্য এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য দিক। আমাদের এসবের মূল্যায়নের ভার সর্বোপরি সহৃদয় পাঠকদের কাছেই রইল।

যায়যায়দিনের অগণিত পাঠক তাদের মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে আমাদের আগামীদিনে এগিয়ে যাওয়ার পথে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এবং উদ্দীপ্ত ও প্রাণিত করবেন। যায়যায়দিন সবসময়ই সত্যবাক, জনগণ ও জাতির কণ্ঠস্বর। যায়যায়দিন জাতির অগ্রগতি, উন্নয়ন স্পন্দন ও প্রগতির পথে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে