শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

রোমাঞ্চকর ম্যাচে সুপার ওভারে জিতল নামিবিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
টি২০ বিশ্বকাপে সোমবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে বল হাতে ওমানের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন নামিবিয়ার রুবেন ট্রাম্পেলম্যান -ওয়েবসাইট

১১০ রানের ছোট্ট লক্ষ্যের ম্যাচও যে, সুপার ওভারে যেতে পারে তা কে জানত! এই কারণেই বোধ করি ক্রিকেটকে অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয়। ওমানের এই ছোট্ট লক্ষ্য অনায়াসেই টপকে যাওয়ার কথা নামিবিয়ার। ধীরগতিতে রান তুলতে থাকলেও জয়ের পথেই ছিল তারা। খেলা শেষ ওভারে গেলেও হাতে ৬ উইকেট থাকায় কেউই ভাবেনি এমনটাও হতে পারে। অথচ ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে আর সেখানে অবশ্য আর আটকে রাখা যায়নি নামিবিয়াকে। ওমানকে হারিয়ে তারা জিতেছে ১১ রানে। সুপার ওভারে ওমানকে হারিয়ে জয় দিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করেছে নামিবিয়া। সোমবার 'বি' গ্রম্নপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান। বল হাতে নামিবিয়ার বাঁ-হাতি পেসার রুবেন ট্রাম্পেলমান ৪ উইকেট নেন। জবাবে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৯ রান করে নামিবিয়া। এতে ম্যাচটি টাই হলে সুপার ওভারে গড়ায়। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে বিনা উইকেটে ২১ রান করে নামিবিয়া। ২২ রানের টার্গেটে ১ উইকেটে ১০ রান করে ম্যাচ হারে ওমান। টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি চতুর্থ টাই ম্যাচ। ২০১২ সালের পর বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ টাই হলো। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে বিশ্বকাপে প্রথম কোনো ম্যাচে টাই দেখেছিল বিশ্ব। ভারত-পাকিস্তানের ওই ম্যাচ টাই হওয়ার পর বোল-আউটে জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে টস জিতে ওমানকে ব্যাট করতে পাঠায় নামিবিয়া। বল হাতে নিয়ে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই উইকেট তুলে নেন ট্রাম্পেলমান। প্রথম বলে ওমানের ওপেনার কাশ্যপ প্রজাপতিকে ও দ্বিতীয় বলে আকিব ইলিয়াসকে লেগ বিফোর আউট করেন ট্রাম্পেলমান। প্রজাপতি ও ইলিয়াস গোল্ডেন ডাক মারেন। তৃতীয় ওভারে ওমানের আরেক ওপেনার নাসিম খুশিকে ৬ রানে ফেরান ট্রাম্পেলমান। ১০ রানে ৩ উইকেট পতনে চাপে পড়া ওমানকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। কিন্তু বড় জুটি না হওয়ায় ১৯.৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান। মিডল অর্ডারে খালিদ কাইল ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৪, জিশান মাকসুদ ২২ ও আয়ান খান ১৫ রান করেন। নামিবিয়ার পক্ষে ৪ ওভারে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন ট্রাম্পেলমান। এছাড়া ডেভিড ওয়াইস ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন। ওমানের ছয়জন ব্যাটার লেগ বিফোর আউট হন। পুরুষ টি২০-তে এটি কোনো দলের জন্য সর্বোচ্চ লেগ বিফোর। জবাবে খেলতে নেমে দ্বিতীয় বলে ওপেনার মাইকেল ফন লিনগেন খালি হাতে ফিরলেও, পরের তিন জুটিতে জয়ের পথেই ছিল নামিবিয়া। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যথাক্রমে- ৪২, ৩১ ও ২৩ রান উঠে। ফলে ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৯২ রানে পৌঁছে যায় নামিবিয়া। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১৬ বলে ১৪ রান দরকার পড়ে তাদের। কিন্তু শেষ দিকে পথ হারায় নামিবিয়া। শেষ ওভারে মাত্র ৫ রানের প্রয়োজনে ২ উইকেট হারিয়ে ৪ রান তুলে ম্যাচ টাই করে নামিবিয়া। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৯ রান করলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। নামিবিয়ার ইনিংসে জান ফ্রাইলিঙ্ক ৪৫ ও নিকোলাস ডাভিন ২৪ রান করেন। ওমানের মেহরান খান ৩ উইকেট নেন। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ওয়াইজ ও এরাসমাসের নৈপুণ্যে বিনা উইকেটে ২১ রান তুলে নামিবিয়া। জবাবে ওয়াইসের করা ওভার থেকে ১ উইকেটে হারিয়ে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওমান। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওমান: ১৯.৪ ওভারে ১০৯ (প্রজাপতি ০, নাসিম ৬, আকিব ০, জিশান ২২, খালিদ ৩৪, আয়ান ১৫, নাদিম ৬, মেহরান ৭, শাকিল ১১, কালিমউলস্নাহ ২, বিলাল ১*; ট্রাম্পেলম্যান ৪/২১, ভিসা ৩/২৮, লুনগামেনি ০/১৮, শুলজ ১/২০, এরাসমান ২/২০)। নামিবিয়া: ২০ ওভারে ১০৯/৬ (ফন লিনগেন ০, ডেভিন ২৪, ফ্রাইলিঙ্ক ৪৫, এরাসমাস ১৩, স্মিট ৮, ভিসা ৯*, গ্রিন ০, ক্রুগার ১*; বিলাল ১/২৫, শাকিল ০/২০, কালিমউলস্নাহ ০/১০, আকিব ১/১৭, মেহরান ৩/৭, জিশান ০/১২, আয়ান ১/১২)। ফল: ম্যাচ টাই (সুপার ওভারে জয়ী নামিবিয়া) ম্যাচসেরা: ডেভিড ভিসা (নামিবিয়া)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে