শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

বন্ধ জাবিতে গাছ কাটার মহোৎসব প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জাবি প্রতিনিধি
  ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
বন্ধ জাবিতে গাছ কাটার মহোৎসব প্রতিবাদে বিক্ষোভ

গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৩০ মে থেকে বন্ধ রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ ছুটিতে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীশূন্য ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে নির্বিচারে গাছ কাটার মহোৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের বর্ধিতাংশ ও চারুকলা অনুষদ নির্মাণের জন্য রোববার সকালে পূর্বে বরাদ্দকৃত বনাঞ্চল উজাড় শুরু করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও মতামতকে উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারাকে ন্যক্কারজনক উলেস্নখ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এক্সেভেটর দিয়ে দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়। অন্যদিকে অংশীজনদের মতামতকে উপেক্ষা করে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের পাশে নতুন কলা ভবনের বর্ধিতাংশ নির্মাণের জন্য আরও দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও আরও পাঁচ শতাধিক গাছ কাটা হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। দুই অংশে কেটে ফেলা গাছগুলোর ঠিক পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বড় লেক অবস্থিত হওয়ায় তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এদিকে গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় সহ-সভাপতি মুক্তারুল ইসলাম অর্ক বলেন, 'বৃক্ষ নিধনের ফলে ঢাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন এই সমস্যা না হয় এজন্য একটি মাস্টারপস্ন্যান প্রণয়ন করা জরুরি। কিন্তু তা না করে প্রতিবার বন্ধ ক্যাম্পাসে গাছ কাটার উৎসবে মেতে ওঠে প্রশাসন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, মাস্টারপস্ন্যান প্রণয়ন ছাড়া ভবন নির্মাণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনো শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে না। তারা নিজেদের স্ব্বার্থ হাসিলের জন্য অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধন করেই চলেছে।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্রম্নততম সময়ে মাস্টারপস্ন্যান প্রণয়নের জোর দাবি জানান। এ সময় উপাচার্য এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে মাস্টারপস্ন্যান প্রণয়ের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি উপাচার্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে