চিরকুট লিখে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রম থেকে শিক্ষার্থী নিখোঁজ

ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের বিবেকানন্দ বিদ্যার্থী ভবন থেকে জয় মন্ডল (১৯) নামে এক শিক্ষার্থী চিরকুট লিখে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিখোঁজ জয় মন্ডল নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের শাকরাইল গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মন্ডল ও পপি রাণী মন্ডলের একমাত্র ছেলে। বিশ্বজিৎ মন্ডল একজন কাঠমিস্ত্রি। জয় মন্ডল ১৭ মাস আগে ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর মহলস্নায় অবস্থিত এই ছাত্রাবাসে ওঠেন। তিনি এখানে থেকে শহরের টেপাখোলা মহলস্নার সরকারি ইয়াছিন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতেন। এ ঘটনায় ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের মহারাজ স্বামী হরাত্নানন্দ কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন। ওই জিডির সঙ্গে আশ্রম কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রাবাসের এক নিবাসীর উদ্দেশে জয়ের লেখা একটি চিরকুট সংযুক্ত করেন। ওই চিরকুটে লেখা ছিল, 'আমি নিজেকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম।' জিডির তথ্য অনুযায়ী, জয় মন্ডলের গায়ের রং কালো, উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি। বুধবার (২৯ মে) বিকাল ৩টার পর তার পাশের রুমের বন্ধু নয়ন বিশ্বাসের কাছে তিনি আত্মহত্যা বিষয়ক একটি নোট জমা করেন এবং অন্য রুমের বন্ধু দ্বীপ মন্ডলের কাছ থেকে ১০০ টাকা ধার নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বিদ্যার্থী ভবন থেকে বের হয়ে যান। বিকাল ৪টার পর তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যার্থী ভবন থেকে বাইরে যাওয়ার সময় তার পরনে ছিল কালো রঙের টি-শার্ট এবং একটি কালো রঙের ট্রাউজার। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন থানায় তার ছবি পাঠানো হয়েছে। জিডির সঙ্গে একটি চিরকুট দেওয়া হয়েছে। তবে চিরকুটটি যে নিখোঁজ জয় মন্ডলের নিজের হাতের লেখা সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের বিবেকানন্দ বিদ্যার্থী ভবনের মহারাজ সিদ্ধার্থ বলেন, একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান জয় মন্ডল। তিনি নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছিলেন মধ্যম মানের শিক্ষার্থী। নিখোঁজ জয় মন্ডলকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। জয় জীবিত নাকি মৃত- তা এখনো জানা যায়নি। \হ